মারাই গেলেন ব্যাঙ্কে পেনশন তুলতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সেই প্রাক্তন সেনাকর্মী। বৃহস্পতিবার কলকাতার আলিপুরে সেনার কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সনৎ ভট্টাচার্য নামে বছর পঁয়ষট্টির ওই ব্যক্তির বাড়ি ময়ূরেশ্বরের ভাবঘাটিতে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর সুবেদার পদে কাজ করে বছর পনেরো আগে অবসর নিয়েছিলেন সনৎবাবু। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ভাবঘাটির বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন। গত মঙ্গলবার সকালে কোটাসুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় তিনি পেনশন তুলতে গিয়েছিলেন। ভিড় এড়াতে সকাল সকাল গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক খোলার আগেই দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর ধকল নিতে না পেরে বুকে প্রবল ব্যথা অনুভব করেন সনৎবাবু। অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রথমে তাঁকে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সনৎবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা ছুটি করিয়ে সনৎবাবুকে আলিপুরের ওই সেনা হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ দিন বেলা ২টো নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে। সনৎবাবুর স্ত্রী লক্ষ্মীরানিদেবী বর্তমানে আমোদপুরে বড় মেয়ে মীনাদেবীর কাছে রয়েছেন। তাঁরা কেউ-ই কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। সনৎবাবুর কাছে রয়েছেন বড় জামাই তাপস সরকার। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০টার সময়েও ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেছিলেন, শুক্রবারে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে ছুটি দিয়ে দেবে। শনিবারে একসঙ্গে বাড়ি চলে যাব। কিন্তু ২টো নাগাদ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে ওঁর মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও নাকি একটা স্ট্রোক হয়েছিল। কিন্তু আমাদের তা জানা ছিল না।’’