সব্জি বাজার না নরক, ক্ষোভ মানবাজারে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ০০:৩৬
Share:

কাদা মাড়িয়েই বাজারের পথে।—নিজস্ব চিত্র।

দৈনিক সব্জি বাজারে ঢুকতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালেন তাপসবাবু। আগের রাতে একটু ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছিল। তাতেই বাজারে ঢোকার রাস্তার এমন হাল হয়েছে, যে বেশ কিছু ক্ষণ নাঁক কুঁচকে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে খালি ব্যাগ নিয়েই বাড়ির পথ ধরলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মানবাজারের বাসিন্দাদের অনেকেই তাপসবাবুর মত বাজার না করে ফিরে গিয়েছেন। কেউ কেউ রাস্তার ধারে যা পেয়েছেন তাই কিনে নিয়েছেন।

Advertisement

মানবাজারের দৈনিক সব্জি বাজার নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সব্জির ডালি নিয়ে বসতেন। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য প্রায় তিন দশক আগে পোদ্দারপাড়া থেকে ব্যাঙ্ক মোড় যাওয়ার রাস্তার ধারে, জেলা পরিষদের জমিতে এই বাজারটি তৈরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাজারে কিছু স্টল তৈরি করা হলেও আইনি জটিলতায় সেগুলি বিলি করা হয়নি। বন্ধ স্টলগুলির বারান্দায় কিছু বিক্রেতা সব্জি নিয়ে বসলেও বাকিদের বসতে হয় মাটিতেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে জল জমে যায়। বাতিল সব্জি, মাছ মাংসের ছাঁট সব বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। সেগুলি পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

এ দিন কাদার উপরই সব্জি নিয়ে বসেছিলেন বিক্রেতারা। বাজার করে বেরিয়ে তেঁতলা গ্রামের তাপস মাহাতো বলেন, ‘‘গোড়ালি অবধি কাদায় ডুবে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে ভালো করে পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি হচ্ছে না। সব্জিও ভাল করে ধুতে হবে।’’ সব্জি বিক্রেতা সাধু বাউরি জানান, বেশি বৃষ্টি হলে আবর্জনা ধুয়ে যায়। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে ঝামেলা বাড়ে। কাদার পাশাপাশি আবর্জনা পচে গন্ধ ছড়ায়। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারের হাল ফেরাতে পঞ্চায়েত বিশেষ উদ্যোগী নয়।

Advertisement

মানবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই দত্তর দাবি, বাজারটি ঢালাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েতের হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকায় সেই কাজ করা হয়ে ওঠেনি। নিকাশি ব্যবস্থার পরিকল্পনা থাকলেও টাকার অভাবে সেই কাজেও হাত দেওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন