দুষ্কৃতীদের স্কেচ আঁকাল গোয়েন্দারা

গয়না চুরি কাণ্ডে জড়িত দুষ্কৃতীদের খুঁজতে লজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজনদের স্কেচ আঁকাল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০০
Share:

তদন্ত: সিউড়িতে তদন্তে আইজি বর্ধমান রেঞ্জ রাজেশ সিংহ। নিজস্ব চিত্র

গয়না চুরি কাণ্ডে জড়িত দুষ্কৃতীদের খুঁজতে লজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজনদের স্কেচ আঁকাল পুলিশ।

Advertisement

তবে তদন্তে এখনও পর্যন্ত বলার মতো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার। তবে সন্দেহভাজনদের স্কেচ করানো হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে এ রাজ্যের প্রথম সারির গহনা প্রস্তুরকারক সংস্থার সিউড়ির বিপণির দেওয়ালে সিঁধ কেটে ঢুকে কয়েক কোটি টাকার গয়না লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। সিউড়ির বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকায় একটি বহুতলে এভাবে চুরির ঘটনা নড়িয়ে দিয়েছে সকলেকে।

বিপণির ঠিক পাশেই ১৮ দিন ধরে একটি লজে থেকে নিঁখুত পরিকল্পনা করেই অপারেশন চালিয়েছে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী, তা তদন্তে নেমে জলের মতো পরিষ্কার পুলিশের কাছে। কিন্তু সমস্যা হল বিপণিতে ঢুকে শুধু সিসি ক্যামেরাগুলোই খুলে ফেলা নয়, হার্ডডিস্ক সমেত গোটা সিপিইউ-টাই তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যে কারণে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। একমাত্র ভরসা ছিল বিপণি ঘেঁষা লজ। যেখানে থেকে অপারেশন চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা, সেই লজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এ বার সন্দেহভাজনদের স্কেচ করাতে এবং ফুটেজের অশ্রয় নিল পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার দিনভর তদন্ত, ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ পরে বুধবার সকালে বিপণিতে আসেন আইজি বর্ধমান রেঞ্জ রাজেশ সিংহ। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন।

লজ সূত্রে জানা গিয়েছে, লজে যে পাঁচ জন দুষ্কৃতী ১৮ দিন ধরে ছিল। পাপ্পু যাদব পরিচয় দিয়ে পাঁচজনের নামে এক ব্যক্তি বিপণি ঘেঁষা লেজের দ্বিতলে ৪, ৫ ও ৬ তিনটি রুম ভাড়া নিয়েছিল। পুলিশের ধারণা রাতের বেলায় ছাদে গিয়ে সেখান জানালার সানশেডে নেমে সেখান থেকেই থেকেই বিপণির শৌচাগারের পাঁচ ইঞ্চির দেওয়ালে সিঁধ কেটেছে। কিন্তু মুশকিল হল। রাতের বেলায় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। লজের কর্মী সঞ্জয় লোহার বলেন, ‘‘একটু মাঙ্গলিয়ান চেহারার পাপ্পু যাদব ছাড়া বাকিরা সকলেই সাধারণ। বয়স অনুমানিক পঁয়ত্রিশ সাইত্রিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ওই লোকগুলোকে পুলিশকে চিনিয়ে দিয়েছি। বলেছিল, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের একটা টাওয়ারের কাজ করতে এসেছে। একবারের জন্যও সন্দেহ হয়েনি। এখন মনে হচ্ছে বড় ভুল হয়ে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন