থানায় প্রশ্ন দিলীপের

ঘরছাড়া ফেরাতে আদৌ কি ভাবছে পুলিশ?

থানায় হাজির হয়ে সটান প্রশ্ন— ‘‘আমাদের ঘরছাড়াদের নিয়ে কী ভাবছেন?’’ বিকেল পৌনে তিনটে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য রাজ্য নেতারা আসতে পারেন, এই খবর পেয়ে পাড়ুই বাজারে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শ’দুয়েক কর্মী-সমর্থক। এ দিকে, রাজ্য নেতারা এসেই স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সটান পাড়ুই থানায় হাজির হলেন। তারপরেই ওই প্রশ্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাড়ুই শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২২
Share:

থানায় হাজির হয়ে সটান প্রশ্ন— ‘‘আমাদের ঘরছাড়াদের নিয়ে কী ভাবছেন?’’

Advertisement

বিকেল পৌনে তিনটে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য রাজ্য নেতারা আসতে পারেন, এই খবর পেয়ে পাড়ুই বাজারে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শ’দুয়েক কর্মী-সমর্থক। এ দিকে, রাজ্য নেতারা এসেই স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সটান পাড়ুই থানায় হাজির হলেন। তারপরেই ওই প্রশ্ন।

তখন থানায় ছিলেন সেকেন্ড অফিসার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অফিসারের উদ্দেশে দিলীপবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের কাছে খবর আছে, পুলিশ নিজের গাড়িতে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকে নিয়ে পাড়ুই থানার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে। পুলিশ-তৃণমূলের মিলিত সন্ত্রাসে আমাদের বহু কর্মী-সমর্থক এলাকাছাড়া। এ নিয়ে কী ভাবছেন, বলুন?” —জবাবে ওই অফিসার দাবি করেন, ‘‘ঘর ছাড়া তো কেউ নেই।’’

Advertisement

পুলিশ অফিসারের কথার প্রতিবাদ করেন বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় নেতা শেখ সামাদ এবং মাজাই শেখ। দাবি করেন, সাড়ে তিনশো ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকের প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। তখন পাশ থেকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি তোলেন, “ওই গ্রামছাড়াদের অবিলম্বে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।” দৃশ্যতই চেপে ধরতে ওই পুলিশ অফিসার বলেন, “যাঁরা গ্রামছাড়া রয়েছেন তাঁদের তালিকা দিন। আমরা সাত দিনের মধ্যে গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করব।” সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুরশেদ জানান, দিন সাতেক পরে ফের এই এলাকায় এসে সে কাজ হয়েছে কিনা ঘুরে দেখে যাবেন। দলের পক্ষ থেকে শেখ সামাদ এবং মাজাই শেখকে ঘরছাড়াদের তালিকা পুলিশকে দিতে নির্দেশ দেন রাজ্য নেতৃত্ব। মিনিট চল্লিশ থানার থেকে বেরোন বিজেপি নেতারা।

এলাকা দখলের লড়াইয়ে বহু দিন ধরেই অশান্ত পাড়ুই। মাসখানেক হল ফের তাততে শুরু করেছে বীরভূমের এই জনপদ। বিজেপি-তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দিন কয়েক আগেও বোমাবাজি হয়েছে। তারপরেই পুলিশের তল্লাশির নামে বেছে বেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্য নেতৃত্বের। সে কারণেই ঘরছাড়া রয়েছেন অনেকে। বিজেপি-র দাবি সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে তিনশো। তাঁদের ঘরে ফেরানোর দাবিতেই এ দিন পাড়ুই থানায় হাজির হন নেতারা।

পাড়ুই থানায় বিজেপি নেতৃত্বের শরীরি ভাষা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার আক্রমণাত্মক বার্তা দেখে নীচুতলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা খুশি। এঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘দলের উপরতলার নেতারা যে আমাদের কথা ভেবেছেন এতেই মনে বল পেলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন