ডাক্তার থাকেন না, রাস্তা অবরোধ

ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া, ভাংড়া, পিঁড়রা, আগয়া-নড়রা ও লাগোয়া হুড়া ব্লকের কেশরগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩১
Share:

ক্ষোভ: পোস্টার হাতে অবরোধে সামিল। নিজস্ব চিত্র

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক থাকেন না বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোঝ করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার জয়নগর মোড়ে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০ এ) জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধকারীদের অভিযোগ স্থানীয় হুটমুড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে।

Advertisement

ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া, ভাংড়া, পিঁড়রা, আগয়া-নড়রা ও লাগোয়া হুড়া ব্লকের কেশরগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় মাস দেড়েক ধরে চিকিৎসককে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুজোর পর থেকে আউটডোরেও তাঁদের দেখা মেলা দুস্কর হয়ে পড়েছে। নার্সরা রোগীদের প্রাথমিক ওষুধপত্র দিয়ে পুরুলিয়া নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ দাস বলেন, ‘‘আগেও কখনও কখনও চিকিৎসককে পাওয়া যেত না। কিন্তু মাস দেড়েক ধরে দেখা যাচ্ছে, দু’জন চিকিৎসকের এক জনও পুরো সময়টা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকছেন না। রাত-বিরেতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মানুষ যাবেটা কোথায়?’’

Advertisement

নীরদবরণ ওঝা নামে এলাকার অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টায় এসে ঘণ্টা খানেক থেকেই চিকিৎসক চলে যাচ্ছেন। গরিব মানুষের পক্ষে কথায় কথায় তো আর পুরুলিয়া সদরে যাওয়া সম্ভব নয়।’’ অবরোধকারীদের ক্ষোভ, এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বারবার বলেও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা অবরোধের পথ বেছে নিয়েছেন।

এ দিন অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের দু’পাশে প্রচুর যানবাহন আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমি আগেও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেছি। কিছু দিন আগে একটি ঘটনাকে ঘিরে ঝামেলাও হয়েছিল। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতর তাতে গুরুত্ব দেয়নি।’’

পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের এ দিন ডাকা হয়েছিল। দু’জনকেই রোজ নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন