শনিবারের ভূমিকম্পে ফাটল ধরেছে শিবচন্দ্র হাইস্কুলের দেওয়ালে। — নিজস্ব চিত্র।
ভূমিকম্পে দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল কীর্ণাহার শিবচন্দ্র হাইস্কুলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্কুল চালাতে বাধ্য হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের পরেই ওই ফাটল দেখা দিয়েছে। আদি ভবন এবং লাগোয়া আর একটি ভবনের মোট চারটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ দিন স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুল ভবনের এক তোলার ল্যাবরেটরি, তার উপরে প্রধান শিক্ষকের ঘর, পার্শ্ববর্তী জেরক্সের ঘর এবং লাগোয়া অন্য একটি ভবনের অফিস ঘরে কোথাও চার ফুট কোথাও দশ ফুট উচ্চতার ফাটল ধরেছে।
ঘটনাচক্রে, এই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৮/৬০ সালে তৈরি হয় কীর্ণাহার শিব চন্দ্র হাইস্কুলের এই আদি ভবনটি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিপদজনকভাবে ফাটল ধরা বাড়িতেই ক্লাস করতে হচ্ছে তাঁদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নীলকমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শনিবার ভূমিকম্পের সময়ে আমরা স্কুলেই ছিলাম। তখন কিছু বোঝা যায়নি। আজ স্কুলে এসে দেখি চারটি দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে।’’
এ দিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকদের মধ্যেও। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবক জগদীশ মণ্ডল বলেন, ‘‘ফাটল ধরা ঘরগুলিতে ছেলেমেয়েরা ক্লাস না করলেও, স্কুল চত্বরের মধ্যেই রয়েছে বাড়িটি। কখন বিপদ ঘটে যায়, কেই বা বলতে পারে।’’ আর এক অভিভাবক সমীর রায় বলেন, ‘‘অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার। প্রতিদিন ভূমিকম্প হচ্ছে, ভয় লাগছে আমাদেরও।’’
শিব চন্দ্র হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি নাসিম এ আলম বলেন, ‘‘অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। বিষয়টি হঠাৎ নজরে আসায় এবং স্থানাভাবের কারণে, এখন পর্যন্ত কিছু করা যাইনি।’’ স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক শুভাশিস দত্ত বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত কোনও বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তার মতামতের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’’ নানুরের বিডিও মৃণাল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি জানা নেই। মঙ্গলবার জয়েন্ট বিডিওকে স্কুলে পাঠিয়ে রিপোর্ট দিতে বলব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’