রানিপুর গ্রামে এই বাড়িতেই খুন হন দুলালী মাঝি। ছবি: সঙ্গীত নাগ
এক বৃদ্ধাকে তাঁরই বাড়িতে কুপিয়ে খুন করা হলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পাড়া থানার রানিপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম দুলালী মাঝি (৭১)। ওই ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে। আটক যুবকের সঙ্গে বিবাদ ছিল দুলালীর ছেলে নাগেশ্বরের। পুলিশের অনুমান, নাগেশ্বরকে না পেয়ে আক্রোশবশত তাঁর মাকে খুন করেছে ওই যুবক। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন বৃদ্ধা।
এদিন রানিপুর গ্রামে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বারান্দায় পড়ে রয়েছে তাঁর রক্তাক্ত দেহ। উঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধান। ঘটনাস্থলে তদন্ত এসেছেন পুলিশের কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের মেজো ছেলে বিজয় মাঝি বাইরে থাকেন। অপর দুই ছেলে সত্য এবং নাগেশ্বর দুপুরে বাড়িতে ছিলেন না। সকালেই তাঁরা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন না দুলালীর পুত্রবধুও। তিনি তখন গ্রামের প্রান্তে জঙ্গলে গিয়েছিলেন কাঠ সংগ্রহ করতে। বাড়ি ফিরে তিনে দেখেন, শাশুড়ির রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে বারান্দায়। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দেখেছিলাম শ্বাশুড়ি ধান ঝাড়ার কাজ করছেন। ঘরের সদর দরজা খোলাই ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাড়ি ফিরে দেখি বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন শ্বাশুড়ি। প্রথমে কী করব বুঝতে পারিনি। পরে প্রতিবেশীদের খবর দিয়েছিলাম।”
পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে দুলালীকে। তাঁর মাথার ডান দিকে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তা ছাড়াও দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে বিকালে আসানমনি গ্রামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, দুলালীকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। খুনের কারন সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, পেশায় মাংসের ব্যবসায়ী ওই যুবকের সঙ্গে নাগেশ্বরের বিবাদ হয়েছিল। সেই সময়েই নাগেশ্বরকে খুনের হুমকি দিয়েছিল সে। পুলিশ মনে করছে, এদিন নাগেশ্বরকে খুন করার উদ্দেশেই তাঁর বাড়িতে এসেছিল ওই যুবক। তবে তাঁকে না পেয়ে আক্রোশবশত সে দুলালীকে খুন করে চম্পট দেয়। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আটক যুবকের পরিবার।