Elephant

গ্রামের কাছে দাঁতাল, ভিড়

বন দফতরের বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দু’টি হাতি রবিবার বিষ্ণুপুর-পাঞ্চেত ডিভিশনে ঢোকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র ও বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৪৩
Share:

শ্লথ: বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের মেমারি বাঁধের পাড়ে দাঁড়িয়ে হাতি। সোমবার ভোরে। নিজস্ব চিত্র

ভোরে ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাঙছেন, এমন একটা সময়ে খবর এল— মেমারি বাঁধের পাড়ে দাঁতাল দেখা গিয়েছে। তড়িঘড়ি মাঠের আলু বাঁচাতে ছুটেছিলেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের সাহাপুর গ্রামের অনেক চাষি। কিন্তু দেখা যায়, হাতিটি ঝিমিয়ে রয়েছে। খবর রটে যেতেই সোমবার প্রচুর লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিল। তবে কাছাকাছি গেলেও তাড়া করেনি দাঁতাল। খুব ধীরে হেঁটে নতুনগ্রাম হয়ে বিকেলের পরে, সোনামুখীর জঙ্গলে সেঁধিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বন দফতরের বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দু’টি হাতি রবিবার বিষ্ণুপুর-পাঞ্চেত ডিভিশনে ঢোকে। রাতে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের দিকে যেতে শুরু করে। তার মধ্যে একটি বেশ বয়স্ক। সেটিই পথে আলাদা হয়ে দ্বারকেশ্বর পেরিয়ে পাত্রসায়রে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সাহাপুরের রাকেশ পাল বলেন, ‘‘হাতি আস্তে হাঁটছে। লোক দেখলেও তাড়া করছে না। শুনে দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।’’ ওই গ্রামেরই বাবলু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, হাতিটার কষ্ট হচ্ছে হাঁটতে। এক জায়গায় অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে।’’ কোনও খেতের ধারের বেড়ায় তড়িদাহত হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে তা উড়িয়ে দিয়েছে বন দফতর।

Advertisement

বন দফতরের রাধানগর রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বারকেশ্বর নদের উত্তর পাড়ে, জনতা গ্রাম থেকে পাতলাপুর পর্যন্ত ফসল বাঁচাতে বেড়া দিয়েছেন কিছু চাষি। তাতে ব্যাটারি থেকে মৃদু ‘ডিসি কারেন্ট’ ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। তবে কোনও ভাবেই ‘এসি কারেন্ট’ দেওয়া যায় না। পাত্রসায়র রেঞ্জ অফিস সূত্রেও জানা গিয়েছে, হাতিটির শরীরে বাইরে থেকে কোনও চোটের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।

বয়সের ভারেই দাঁতালটি শ্লথ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বন আধিকারিকেরা। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) কল্যাণ রাই বলেন, ‘‘হাতিটির কোনও চোটের খবর নেই। নজরে রাখা হয়েছে।’’ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির কাছাকাছি যাতে লোক না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন বনকর্মী ও হুলাপার্টির লোকজন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন