সংস্কৃতি ধরে রাখতে মেলা

প্রতি বছর জানুয়ারিতে শেষে মেলা হয়। এ বছর সেই সময় ছিল পরীক্ষার মরসুম। তাই সময় পিছিয়ে মার্চে হল মানভূম মেলা ও বই মেলা। ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে গত ৭ তারিখ শেষ হল মেলাটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৫১
Share:

প্রতি বছর জানুয়ারিতে শেষে মেলা হয়। এ বছর সেই সময় ছিল পরীক্ষার মরসুম। তাই সময় পিছিয়ে মার্চে হল মানভূম মেলা ও বই মেলা। ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে গত ৭ তারিখ শেষ হল মেলাটি। উদ্যোক্তারা জানান, মানভূম এলাকার সাংস্কৃতিক পরম্পরা রক্ষা করার জন্য বিগত ১৩ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

Advertisement

এক দিকে কাড়া-নাকাড়া, ঢোল, ধামসা, মাদল, কাঁসর, ঘণ্টা অন্য দিকে মানভূমের নিজস্ব ঘরানার বাঘনাচ, ঘোড়ানাচ— সব নিয়ে জমকালো শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মেলার শুরু হয়। তার পর প্রদীপ জ্বালিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের সম্পাদক স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রতি সন্ধ্যায় মেলার মঞ্চে আয়োজন করা হয়েছিল টুসু, ভাদু, করম, বাউল এবং ঝুমুর গানের অনুষ্ঠানের। ছিল মানভূমের বিভিন্ন নাচও। তাঁদের দাবি, প্রতিদিনই লোক সমাগম হয়েছিল ভালই। মেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ মণ্ডল, তপন পাত্ররা বলেন, ‘‘পুরুলিয়া বা সাবেক মানভূম জেলার নিজস্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রয়েছে। সেটি ধরে রাখতেই এই মেলার আয়োজন।’’ মেলা কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের সাম্যপ্যারী মাহাতো বলেন, ‘‘১৩ বছর আগে আমরা মেলা শুরু করেছিলাম। এখন প্রতি বছর স্বতস্ফুর্ত ভাবে মেলা হয়। এলাকার মানুষই এখন মেলা ধরে রেখেছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন