বেঙ্গালুরুতে চাকরি করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলের বাসিন্দা অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হদিস পেতে রাজ্য সরকারের সহায়তা চাইলেন তাঁর পরিবার। এই যুবক ২০১২ সাল থেকে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে শেষবার তিনি বাঁকুড়ায় এলেও ফোনে নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারি শেষবার বাড়িতে বাবা মথুরানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। সে দিন তিনি জানিয়েছিলেন, কর্ণাটকের হুবলিতে অফিসের কাজে গিয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি মথুরানাথবাবু।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বাঁকুড়া থানায় ঘটনাটি জানান। এরপরে তিনি বেঙ্গালুরু গিয়ে ছেলে যেখানে থাকতেন, সেখানে বা তাঁর অফিসে গিয়ে খোঁজ নেন। কোনও হদিস না পেয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড থানায় ছেলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
রবিবার অরিজিতের মামা রামদাস ভট্টাচার্য পুরুলিয়ায় এসে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর সঙ্গে দেখা করেন। রামপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর ওই থানায় ফোন করেও কোন হদিস মিলছে না। ছেলেটা কোথায় গেল? তাই মন্ত্রী শান্তিরামবাবুর কাছে এসেছিলাম। তিনি যেন সরকারের হয়ে এই বিষয়টা একটু সহৃদয় ভাবে বিবেচনা করেন, সে অনুরোধ করেছি।’’
মন্ত্রী শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার ওই যুবকের এক আত্মীয় এ দিন আমার কাছে এসেছিলেন। আমি বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।’’