ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত বাবা-ছেলে

পেনশন তুলে ফেরার পথে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে লাভপুরের পাথরঘাটা গ্রামের কাছে বোলপুর-লাভপুর সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সতীনাথ পান (৬৮) এবং সুকান্ত পান (৩৫)। বাড়ি রাখরেশ্বর গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০০:২৫
Share:

পেনশন তুলে ফেরার পথে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে লাভপুরের পাথরঘাটা গ্রামের কাছে বোলপুর-লাভপুর সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সতীনাথ পান (৬৮) এবং সুকান্ত পান (৩৫)। বাড়ি রাখরেশ্বর গ্রামে।

Advertisement

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সতীনাথবাবু ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। এ দিন লাভপুর ব্যাঙ্কে পেনশনের টাকা তুলে বাবাকে মোটর বাইকে চাপিয়ে ফিরছিলেন সুকান্ত। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টর তাঁদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সতীনাথবাবুর। সুকান্তকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষ ছুটে যান। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সতীনাথবাবুর তিন ছেলে। সুকান্ত মেজ। বড়ভাই পীযূষ চাষবাস করেন। ছোট সৌমেন ইঞ্জিনিয়র। চাষবাসের পাশাপাশি সুকান্ত ইলেকট্রিশিয়ানের কাজও করতেন। বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁর। বাড়ির কেউ-ই কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।

ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন সুকান্তর স্ত্রী মীনাদেবী। প্রতিবেশীরা তাঁকে স্বান্তনা দিচ্ছিলেন। তাঁরাই জানান, রাতবিরেতে বিদ্যুতের সমস্যা হলে সুকান্তই ছিল মুশকিল আসান। সেই সুকান্তর এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। স্থানীয়রা জানান, সতীনাথবাবু ছেলের সঙ্গেই পেনশন তুলতে যেতেন। এমন বিপদের কথা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।

Advertisement

সুকান্তর শ্বশুর প্রভাস সামন্ত এ দিন বলেন, ‘‘মেয়ের ফোনে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাভপুর হাসপাতালে পৌঁচ্ছে দেখি পড়ে রয়েছে বেয়াই মশাইয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ! সুকান্তকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওর। স্বান্তনা দেওয়া দূরে থাক, মেয়েটার মুখের দিকে তাকাতেই পারছি না। কতই বা বয়স!’’ পুলিশ জানায়, ট্রাক্টরটি চিহ্নিত করা হয়েছে। চালক পলাতক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement