চলছে প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় তেমন বড় কোনও উৎসব হয় না। ওন্দার সাহাপুর গ্রা মের মানুষজন সারা বছর তাকিয়ে থাকেন আজকের দিনটার দিকে। জানুয়ারির ২৩। নেতাজির জন্মদিন। এই দিনটায় সাহাপুরে বসে মিলন মেলা। সামিল হন ওন্দার সাহাপুর, ওলা, দুবরাজপুর, নিকুঞ্জপুর, কোষ্টিয়ার মতো প্রায় ৪২টি গ্রামের মানুষ।
মেলা কমিটির সম্পাদক তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতা মানিক মুখোপাধ্যায় জানান, এটি মেলার ৩০ তম বর্ষ। পাঁচ দিনের মেলায় মানুষের ঢল নামে। প্রতিদিনই থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেতাজিকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা। মানিকবাবু বলেন, “প্রথম থেকেই এই মেলা কখনও সরকারি সাহায্য পায়নি। গ্রামের মানুষের দানেই যাবতীয় আয়োজন করে আসছি আমরা।”
রবিবার সাহাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল ছুটির দিনেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। সাহাপুরের সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় আর চামট্যা গ্রামের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়রা মেলার মঞ্চে নেতাজির ছবি টাঙাচ্ছিলেন। তাঁরা বলেন, ‘‘এই মেলাই আমাদের উৎসব। ছেলে-বুড়ো সবাই এর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সাহাপুরের বধূ শঙ্করী ভট্টাচার্য বলেন, “মেলা দেখতে প্রতি বছরই আত্মীয়-স্বজনেরা আসেন। বাড়ি গমগম করে।’’ শিশুদের জন্য চড়ক বসে। এলাকার চাষিরা নিজেদের ফলানো ফসলের প্রদর্শনীও করেন মেলায়।
মানিকবাবু জানান, মেলা কমিটির তরফে এ বারে বাঁকুড়া ২ ব্লকের নবান্দা থেকে বিষ্ণুপুর ব্লকের জয়কৃষ্ণপুর যাওয়ার প্রায় ৩২ কিলোমিটার রাস্তাটির নামকরণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড করার দাবি তোলা হবে। তিনি বলেন, “এই রাস্তা দিয়েই ১৯৩৯ সালে নেতাজি বিষ্ণুপুর ও সোনামুখীতে সভা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিতে রাস্তার নামকরণ হওয়া উচিত।’’ লিখিত ভাবে দাবি জেলা প্রশাসনকেও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।