পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণের দাবি

পর্যটন চেয়ে তেলকুপিতে মেলা

তেলকুপির পুরাতাত্ত্বিক সংরক্ষণ করে এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবি নিয়েই শনিবার থেকে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের গুরুডিগ্রামে দামোদরের ঘাটের কাছে শুরু হল পাঁচ দিনের মেলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৫
Share:

দেউল: রঘুনাথপুর ২ ব্লকের তেলকুপিতে। ফাইল চিত্র

তেলকুপির পুরাতাত্ত্বিক সংরক্ষণ করে এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবি নিয়েই শনিবার থেকে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের গুরুডিগ্রামে দামোদরের ঘাটের কাছে শুরু হল পাঁচ দিনের মেলা। এ দিন দুপুরে গ্রামের লোকজন ও মেলা কমিটির সদস্যরা দামোদরে স্নান করে গীতাপাঠ, চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে মেলার সূচনা করেন।

Advertisement

রাজ্যে পালাবদলের পরে তেলকুপিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকায় রঘুনাথপুর ২ ব্লকের বদলে সাঁতুড়ি ব্লকের তেলকুপিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠে। তারপর থেকেই রঘুনাথপুরের তেলকুপি সংরক্ষণ কমিটি ও বারণী মেলা কমিটি এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।

সংরক্ষণ তথা মেলা কমিটির সম্পাদক প্রদীপ গোস্বামী জানান, চার দশক আগে এলাকার পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ ও লোকসংস্কৃতি রক্ষা করার দাবিতে মেলা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সেই দাবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি। গ্রামীণ মেলায় পাঁচদিনই বিভিন্ন লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কমিটির সদস্য যোগেশ মাহাতো, পবন রজক, দীনেশ মাহাতোরা বলেন, ‘‘মেলায় আসা লোকজনের কাছে পুরাতত্ব রক্ষা ও পর্যটনকেন্দ্র গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।’’

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা তথা লোকগবেষক সুভাষ রায় জানান, অতীতের তৈলকম্প বা আজকের তেলকুপি ছিল কর প্রদানকারী সামন্ত রাজ্য। বন্দরনগরী হিসাবে তার খ্যাতি ছিল। দামোদরের পাড়ে তৈরি হয়েছিল বাইশটি দেউল। ঐতিহাসিক জেডি বেগলারের লেখায় তৈলকম্প বা তৈলকুপি এবং দেউলের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পাঞ্চেত জলাধার তৈরির সময়ে বেশ কয়েকটি দেউল জলে ডুবে যায়। এখন মাত্র তিনটে দেউল কোনও মতে টিঁকে রয়েছে। পাশাপাশি দামোদরের লাগায়ো গ্রামগুলিতেও রয়েছে বহু পুরাতাত্ত্বিক নির্দশন, পাথরের বিভিন্ন মূর্তি। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘পুরাতত্ত্বকে রক্ষা করার দাবি নিয়ে এই ধরণের মেলার আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন