চিন্তা বাড়াচ্ছে দলছুট দাঁতাল

ঝালদায় থেকে দু’টি হাতির দলকে ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠানোর পরেও চিন্তা কমছে না বন দফতরের। এ বারে ঝামেলা পাকিয়েছে একটি দলছুট দাঁতাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৭
Share:

মাথাব্যথা বাড়িয়েছে এই হাতিটিই। —নিজস্ব চিত্র

ঝালদায় থেকে দু’টি হাতির দলকে ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠানোর পরেও চিন্তা কমছে না বন দফতরের। এ বারে ঝামেলা পাকিয়েছে একটি দলছুট দাঁতাল। বন দফতর সূত্রের খবর, ওই দাঁতালটিও ঝাড়খণ্ড থেকে এসে ঝালদার জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে। কিন্তু সেটি ঠিক কোথায় রয়েছে তার কোনও হদিস নেই দফতরের কাছে।

Advertisement

চলতি মাসে দু’টি দলে মোট ২৩টি হাতি ঝালদায় ঢুকে পড়ে। তার মধ্যে একটি হাতি কালীমাটি বিট এলাকায় বাঁশ খেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। বাঘমুণ্ডির বিট আধিকারিক মনোজ মল্ল জানান, সম্প্রতি দু’টি দলকেই ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠাতে পেরেছেন বন কর্মীরা।

ওই দু’টি হাতির দল যখন হেঁসলা পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে ঝালদা-বাঘমুণ্ডির সীমানা লাগোয়া গ্রামগুলিতে উপদ্রব চালাচ্ছে, তখনই ঝালদার জঙ্গলে একটি দলছুট দাঁতালকে একা ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বনকর্মীরাও ওই দলছুটের গতিবিধির হদিস করতে নামেন। কিছু দিন নজরে থাকলেও ওই হাতিটি গত দু’দিন ধরে বনকর্মী বা হুলা পার্টির চোখের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই একটি দাঁতাল ঝাড়খণ্ড থেকে এ পারে ঢুকে জঙ্গলে ঘাপটি মেরে লাগোয়া গ্রামে হামলা চালায়। সেটির হানায় কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। বছর দুয়েক আগে বিভিন্ন গ্রামে ঘরবাড়ি ভাঙচুর চালানোর সময় ওই দাঁতালটিকে রোগ ঘোষণা করে মারা হবে কি না তা নিয়ে যখন ভাবনা চিন্তা চলছে, সেই সময় আচমকা এলাকা থেকে উধাও হয় যায় দাঁতালটি।

Advertisement

দিন কয়েক আগে দলছুট দাঁতাল এলাকায় ঢুকে পড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে বন দফতর। তবে এটিই সেই খুনে দাঁতাল কি না তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় বন দফতর। ঝালদার বিট আধিকারিক তৌহিদ আনসারি জানান, সম্প্রতি ঝালদায় ঢুকে পড়া দলছুট দাঁতালটিকে প্রথমে পাঁড়রির দিকে দেখা যায়। সেখান থেকে পরে এঁদেলডি এবং ওলগাড়ার দিকেও সেটির দেখা পেয়েছিলেন অনেকে। শেষ দেখা গিয়েছে ঘসড়ার কাছে। এক বন কর্মী বলেন, ‘‘বাঁচোয়া যে দলছুট এই দাঁতালটা এখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। কিন্তু হাতিটাকে সীমানা পার না করা ইস্তক স্বস্তিও নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন