কর্নাটক থেকে বাঁকুড়ায় আসছে কুনকি

পরের পর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে চোরাশিকার বন্ধ করতে কটক থেকে আরও ১৫টি কুনকি হাতি আনতে চলেছে রাজ্যের বন দফতর। তার মধ্যে চারটি কুনকি পেতে পারে বাঁকুড়া।

Advertisement

রাজকুমার মোদক

ফালাকাটা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

পরের পর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে চোরাশিকার বন্ধ করতে কটক থেকে আরও ১৫টি কুনকি হাতি আনতে চলেছে রাজ্যের বন দফতর। তার মধ্যে চারটি কুনকি পেতে পারে বাঁকুড়া।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা শুরু হয়েছে দু’রাজ্যের বন দফতরের কর্তাদের মধ্যে। কর্নাটকের কুনকি হাতিদের আদব-কায়দা ও বুলি শেখাতে কয়েকজন মাহুত ও পাতাওয়ালাকে সেখানে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোও হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। হাতিগুলি এলে তাদের জঙ্গল পাহারা ও পর্যটকদের সাফারির কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে জলদাপাড়া জঙ্গলের বিভিন্ন পিলখানায় ৬৫টি কুনকি হাতি আছে। তার মধ্যে পাঁচটি পর্যটকদের ঘোরানোর কাজে, ৪০টিকে জঙ্গল পাহারা ও অন্যান্য কাজে লাগানো হয়। বাকি ২০টির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত ও শাবক আছে। গরুমারার জঙ্গলে রয়েছে ২২টি কুনকি হাতি। তাদের মধ্যে পাঁচটি সাফারির জন্য ও বাকিগুলি জঙ্গল পাহারা ও অন্য কাজে লাগানো হয়।

কর্নাটক থেকে ১৫টি হাতি এলে হাতি উপদ্রুত বাঁকুড়াকে চারটি দেওয়া হবে। বুনো হাতিদের নিয়ন্ত্রণে সেগুলি কাজে লাগানোর চেষ্টা চলবে। বাকি হাতিগুলিকে জলদাপাড়া, গরুমারা, বক্সা জঙ্গলে রাখা হবে।

Advertisement

বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “মূলত জঙ্গল পাহারার কাজে লাগানোর জন্যেই কর্ণাটক থেকে ১৫টি হাতি আনা হবে। কয়েকটি পর্যটকদের কাজেও লাগানো হবে। হাতি আনার ব্যাপারে দফতরের কর্তারা কর্নাটক বন দফতরের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। এ ব্যাপারে কাজ প্রায় শেষের পথে।’’ কিন্তু পরিবেশপ্রেমীদের মতে, বনকর্মীর সংখ্যা না বাড়িয়ে শুধু হাতি এনে কী লাভ হবে? কয়েকজন জন বাদে সব তো অস্থায়ী মাহুত বা পাতাওয়ালা।

সম্প্রতি গরুমারায় খড়গ বিহীন দু’টি গন্ডারের দেহ উদ্ধারের পর সারা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তার আগেই অবশ্য বন দফতর জঙ্গলের নজরদারি বাড়ানোর জন্য কর্নাটক বন দফতরের সঙ্গে হাতি আনার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছিল। চোরাশিকারিদের খোঁজে শুরু হয়েছে সিআইডি তদন্ত। তদন্তে সিআইডি জানিয়েছে, চোরাশিকারিরা মণিপুরের বাসিন্দা। তার আগেই অবশ্য বন দফতরের নিজস্ব তদন্তে বনপাল আর পি সাইনি বলেছেন, “চোরাশিকারিরা আন্তঃরাজ্য বা আন্তর্জাতিক চোরাশিকারির দলের সঙ্গে যুক্ত। এই চোরাশিকারি দলটি আটটি স্কোয়াডে ভাগ হয়ে অসম, মণিপুর, নেপাল ও মায়ানমার দিয়ে চোরাশিকারের কাজে যুক্ত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন