নরহরি মাহাতো। —ফাইল চিত্র।
দল ছেড়ে যাওয়ার পরের দিনই দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সাংসদ নরহরি মাহাতোকে বহিষ্কার করল ফরওয়ার্ড ব্লক। দল সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বীরসিংহ মাহাতোকে দলের নতুন জেলা সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া জেলা সম্মেলনে দলের জেলা সম্পাদক পদ থেকে নরহরিবাবুকে জেলা সভাপতি করা হয়েছিল।
এ দিন দলের জেলা দফতরে সাংবাদিকদের কাছে বীরসিংহবাবু নরহরিবাবুকে বহিষ্কারের খবর জানান। কিন্তু, তিনি দলত্যাগ করার পরে বহিষ্কার করে কী হবে?
বীরসিংহবাবু বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর ছিল তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকী কলকাতায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেও তিনি আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। দল আমাকেও বঞ্চিত করেছে বলেছিলেন। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও জানতে দেননি যে তিনি এখনই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে আগে তাঁকে বাদ দিলে, তিনি বলার সুযোগ পেতেন যে দল তাঁকে সরিয়ে দিল। আমরা সেই সুযোগ দিইনি। এখন কর্মীদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল, তিনি কেন দল ছাড়লেন।’’
এ দিকে, শুক্রবার সকালে কলকাতা থেকে পুরুলিয়া স্টেশনে পৌঁছন নরহরিবাবু। বিজেপির কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান।
নরহরিবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূল সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। প্রতিটি দলের শত্রু তৃণমূল। এখন আর বামপন্থী দলে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। পুরুলিয়াকে বাঁচাতেই বিজেপিতে এলাম। বিজেপিই বিকল্প।’’ তবে ফব তাঁকে বহিষ্কার করার পরে নরহরিবাবুর মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য নরহরিবাবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।