এত্তা-জঞ্জাল: বিষ্ণুপুরের জোড়শ্রেণি মন্দিরের পাশে দীর্ঘ দিন ধরে জমে উঠছে আবর্জনা। ছবি: শুভ্র মিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে জমা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বিষ্ণুপুরের উত্তর দিকে বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে আশপাশের মহাপাত্র পাড়া, মাঝি পাড়া, কাদাকুলি পাড়ার বাসিন্দারা নাকাল হচ্ছেন।
মহাপাত্র পাড়ার প্রবীণ বাসিন্দা দেবীসাধন মহাপাত্র, সোমেশ মল্লিক ঠাকুর বলেন, ‘‘বছর পাঁচেক আগেও এই এলাকায় এমন দুর্গন্ধময় ছিল না। এই অঞ্চলের মানুষের প্রাতর্ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিকেলে কচিকাঁচাদের খেলার জন্য পুরসভার এই মাঠই ভরসা ছিল। ২০০৮ সালে এই মাঠেই বিষ্ণুপুর মেলাও হয়।’’
কিন্তু তার পর থেকেই পরিবেশ ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের যত নোংরা পুরসভার গাড়ি করে এনে এই মাঠেই এখন ফেলা হচ্ছে। এই মাঠের পাশেই মাঝি পাড়া। সেখানকার বাসিন্দার উমা মাঝি,শম্ভু মাঝিরা বলেন, ‘‘নোংরা গন্ধে ছেলেপুলেদের শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পচা গলা পশুর দেহও ফেলা হচ্ছে। হাওয়া দিলে সেই পচা গন্ধে বমি চলে আসে।’’
এই মাঠের পাশেই নতুন পুকুর। সেই পুকুরের জলও নষ্ট হয়ে গিয়েছে নোংরা আবর্জনাতে। মহাপাত্র পাড়ার বাসিন্দা সুধাংশু মহাপাত্রের আক্ষেপ, ‘‘বিষ্ণুপুর পর্যটনের শহর। এখানকার মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় মন্দির মুরুলীমোহন মন্দির। এই নতুন পুকুরের পাড়েই সেই মন্দির। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা যখন নাকে রুমাল চাপা দিয়ে মন্দিরের পরিবেশের নিন্দা করেন, বিষ্ণুপুরবাসী হিসেবে লজ্জা লাগে।’’
ওই এলাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মধ্যে পরে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। পুরসভার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।’’ বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউণ্ড করার চেষ্টা করছি। খুব তাড়াতাড়ি বিষ্ণুপুরের দক্ষিণ প্রান্তে চৌকান গ্রামের কাছে জমি কিনছি। আশাকরছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।’’