‘কর্মী ছিলাম, সাংসদ হয়ে বাড়ল দায়িত্ব’

নিজের জয় নিয়ে অসিতবাবু বলেন, ‘‘এত দিন দলের কর্মী ছিলাম। এখন সাংসদ হয়ে দায়িত্ব আরও বাড়ল। দল যে ভাবে বলবে, সে ভাবে কাজ করব। মানুষের হয়ে কাজ করব, মানুষের জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করব। আমার পাশে থাকার জন্য মানুষকে ধন্যবাদ।’’

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০৫:২৬
Share:

অসিত মাল। নিজস্ব চিত্র

দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সাংসদ অনুপম হাজরাকে। সেই বোলপুর আসনে লড়তে নেমে জয় ছিনিয়ে আনলেন অসিত মাল। গত লোকসভা ভোটের তুলনায় সেখানে দলের জয়ের ব্যবধান কমলেও, শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই।

Advertisement

এ দিন বেলা গড়াতেই দলীয় প্রার্থীর জয় নিয়ে অনেকটাই সুনিশ্চিত হয়ে যায় তৃণমূল। সে ভাবে বিজয়োল্লাস না হলেও, বোলপুরের কয়েকটি প্রান্তে হয় সবুজ আবিরের খেলা।

নিজের জয় নিয়ে অসিতবাবু বলেন, ‘‘এত দিন দলের কর্মী ছিলাম। এখন সাংসদ হয়ে দায়িত্ব আরও বাড়ল। দল যে ভাবে বলবে, সে ভাবে কাজ করব। মানুষের হয়ে কাজ করব, মানুষের জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করব। আমার পাশে থাকার জন্য মানুষকে ধন্যবাদ।’’

Advertisement

বোলপুর কেন্দ্রে অসিত মালকে লড়াইয়ে প্রার্থী করার আভাস ভোট-নির্ঘণ্ট ঘোষণার অনেক আগেই দিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে আমোদপুরে এক কর্মিসভায় অসিতবাবুকে কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই লোকটাকে চিনে রাখুন। খুব ভাল মানুষ। প্রয়োজনে আপনাদের কাজে লাগবে।’’

বোলপুর কেন্দ্রের ভোট-ময়দানে দ্বিতীয় বার তৃণমূলের জয় ধরে রাখলেন তিনি-ই।

রাজনৈতিক পরিসংখ্যানে হাঁসন বিধানসভার দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক অসিতবাবুর সাফল্যের খতিয়ান সেরা বোলারের পারফরম্যান্স-কে টেক্কা দিতে পারে। ১৯৭৭ সালে প্রথম বার ভোটের ময়দানে নেমে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হন তিনি। ১৯৮২ সালে তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। সে বার জয়ের পরে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। কংগ্রেসের প্রতীকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সাত বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পাঁচ বার বিধায়ক হন তিনি। ২০১৪ সালের ২১ জুলাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের মিলটন রসিদের কাছে পরাজিত হন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা ছিল, এলাকার মানুষ অসিতবাবুর তৃণমূলে যোগদান মেনে নিতে পারেননি।

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে অবশ্য নতুন মুখ নন অসিতবাবু। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের প্রার্থী হন তিনি। তবে সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমের কাছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৮২ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন।

১০ বছর পরে একই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে লড়তে নেমে জয়ের পথে এগোলেন অসিতবাবু। ভোটযুদ্ধে নেমে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র বাঁচাতে, দেশের কঠিন সময়ে সংবিধান রক্ষার ডাক দিয়েছেন। আমাকে তাঁর সৈনিক করেছেন। আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন