নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত বাবা

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, টিফিনের আগে হঠাৎ সহপাঠীদের থেকে খবর আসে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দৌড়ে যান শিক্ষিকারা। বাড়িতে যোগাযোগ করার জন্য বাবার ফোন নম্বর চাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তারই বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার বিষ্ণুপুর শহরের ঘটনা। নির্যাতিতার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিজে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, টিফিনের আগে হঠাৎ সহপাঠীদের থেকে খবর আসে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দৌড়ে যান শিক্ষিকারা। বাড়িতে যোগাযোগ করার জন্য বাবার ফোন নম্বর চাওয়া হয়।

কিছুতেই সেই নম্বর দিচ্ছিল না বছর চোদ্দোর মেয়েটি। সে জানায়, তার কিছু কথা বলার আছে। এক শিক্ষিকা তাকে নিয়ে যান স্কুলের পাশের একটি মাঠে। ওই শিক্ষিকার দাবি, কিশোরী জানায়, তার বাবা রবিবার তাকে ধর্ষণ করে। এমনকি আগেও বাবার অত্যাচারের শিকার হয়েছে সে।

Advertisement

স্কুল থেকে সরাসরি ঘটনার কথা জানানো হয় এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) সুকোমলকান্তি দাসকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। স্কুলের তরফেই ততক্ষণে ওই কিশোরীকে ভর্তি করানো হয়েছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে।

স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কিশোরীর মাকেও। শিক্ষিকাদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। দাবি করেন, আগেই ঘটনাটি তিনি জানতে পেরেছিলেন। তাই মেয়েকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। ভেবেছিলেন, মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেবেন। সেই মতো পাত্রও স্থির করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মেয়েকে নিয়ে আসা হয়েছিল বাড়িতে। রবিবার পাত্রপক্ষ দেখে যাওয়ার পরে ফের বাবা মেয়ের উপরে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ।

ওই কিশোরীর প্রাথমিকের পড়ুয়া এক বোন রয়েছে। বাবা বাড়িতেই থাকেন। মা একটি কারখানায় কাজ করেন। সকালে বেরিয়ে যেতে হয়। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। কিশোরীর মা এ দিন বিষ্ণুপুর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলাম।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন তার মা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন