শিশুশ্রম ঠেকাতে অভিযান মেলায়

পৌষমেলার দ্বিতীয় দিনে, সমস্ত খাবারের দোকানে তল্লাশি চালালেন কমিশনের অধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৯
Share:

ছবি: শাটারস্টক।

পৌষমেলায় শিশুশ্রম ঠেকাতে নজরদারি চালাল পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন।

Advertisement

বুধবার, পৌষমেলার দ্বিতীয় দিনে, সমস্ত খাবারের দোকানে তল্লাশি চালালেন কমিশনের অধিকারিকেরা। পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘২০১৬ সালের পৌষমেলা থেকেই আমরা মেলায় যাতে কোনওভাবে কোনও দোকানে শিশুদের কাজে না লাগানো হয় সে জন্য সচেতনতা চালাচ্ছি। এর ফলে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে। এ বছরও আমরা পৌষমেলায় দোকানদারদের সচেতন করতে অভিযান চালাচ্ছি।’’

প্রায়ই সমস্ত মেলাতেই বিভিন্ন খাবারের দোকানে শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ ওঠে। পৌষমেলায় যাতে কোনওভাবেই তা না হয় সে জন্য বুধবার অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। এ দিন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী, কমিশনের বিশেষ উপদেষ্টা সুদেষ্ণা রায়, কমিশনের সেক্রেটারি সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায় ও জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকের নিয়ে এ দিন একটি প্রতিনিধি দল মেলায় সমস্ত খাবারের দোকানে নজরদারি চালান। সমস্ত খাবারের দোকানে শিশু সুরক্ষা দফতরের তরফ থেকে ‘শিশুশ্রম মুক্ত দোকান’ বলে বোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। দোকানদারদের বলা হয়, কোনওভাবে শিশুদের দিয়ে কোনও রকম কাজ করানো যাবে না।

Advertisement

মেলায় কোথাও কোনও দোকানে শিশু শ্রমিক কাজ করতে দেখলে খবর দিতে বলা হয়েছে মেলাতে তৈরি হওয়া শিশু বান্ধব কর্নারে। যদি কোনও দোকান বা ব্যবসায়ী শিশু শ্রমিক রাখেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়। মেলার চার দিন খাবারের দোকানে বা অন্য কোনও দোকানে শিশু সুরক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে কোনও শিশু শ্রমিককে কাজে না লাগিয়ে মেলা শেষ করতে পারলে ওই সমস্ত দোকানদারদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের উপদেষ্টা সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকেই আমরা মেলার বিভিন্ন দোকানে নজরদারি শুরু করেছি। মেলায় কোথাও যাতে কোনও শিশুকে দিয়ে কাজ না করানো হয় সে জন্য মেলার বাকি দিনগুলোতেও একইভাবে আমাদের নজরদারি চলবে।’’ মেলায় খাবারের দোকান নিয়ে বসা ব্যবসায়ী নিমাই দাস, জয়ন্ত মণ্ডলরা বলেন, ‘‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এই ধরনের উদ্যোগ প্রতিটি মেলায় নিলে শিশুশ্রম আটকানো সম্ভব হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন