লু-এর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে তরমুজের বিক্রিবাটা

পরপর দু’দিনের কালবৈশাখীর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দাবদাহ শুরু বাঁকুড়ায়। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। সঙ্গে লু-এর দাপট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫৭
Share:

পরপর দু’দিনের কালবৈশাখীর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দাবদাহ শুরু বাঁকুড়ায়। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। সঙ্গে লু-এর দাপট। বাড়ির বাইরে বেরোলেই রোদের আঁচে ঝলসে যাচ্ছে চোখ মুখ। গলা শুকিয়ে কাঠ। কেউ ছুটছেন ডাবের দোকানে, কেউ চুমুক দিচ্ছেন ঠান্ডা আখের রসে।

Advertisement

গত মাস থেকেই জেলায় তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। ৩০ মার্চ জেলায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল কয়েক দশকের তাপমাত্রার রেকর্ডকে। তবে মাঝে বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির জন্য এই জেলাতেও তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। রবিবার ও সোমবার বাঁকুড়ায় কালবৈশাখী হয়। যার ফলে তাপমাত্রা এক ঝটকায় কমে গিয়েছিল অনেকটাই। হাঁসফাঁস করা গরম থেকে স্বস্তিও পেয়েছিলেন জেলার মানুষ।

কিন্তু সেই স্বস্তি স্থায়ী হল না। সোমবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি। মঙ্গলবার এক ঝটকায় প্রায় চার ডিগ্রি বেড়ে সেটা দাঁড়িয়েছিল ৪০.৭-এ। বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি। ঝড় বৃষ্টি না হলে পারদ লাগাতার চড়তেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

Advertisement

সকাল ৭টার পর থেকেই শুরু হচ্ছে চড়া রোদের অস্বস্তি। বিকেলের পরেও গরম বাতাসের দাপট থাকছে। বাঁকুড়ার মিথিলা এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দা মঞ্জু কর্মকার বলেন, “বাজারে গিয়ে ঘেমেনেয়ে ফিরছি। বাড়ি ফিরেও স্বস্তি নেই।’’ পেশার টানে যাঁদের বাইরে যেতে হচ্ছে তাঁদেরও ভোগান্তি। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বাঁকুড়ার বাসিন্দা সন্দীপ সরকারের কথায়, “পেশার তাগিদে মোটরবাইক নিয়ে গোটা জেলা চষে বেড়াতে হয়। ঘন ঘন তেষ্টা পাচ্ছে। জল খেয়েও শান্তি পাচ্ছি না।”

গরমের জেরে বেলা একটু গড়াতেই ফাঁকা হয়ে পড়ছে শহরের রাস্তা ঘাট। রোদের তাপ থেকে বাঁচতে বেশির ভাগ মানুষই পুরো শরীর ঢাকা পোশাক পরে বেরোচ্ছেন। বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলসত্র চালু হয়েছে। পথচারীদের ভিড় লেগে থাকছে সেখানে।

এ দিকে এক ধাক্কায় জেলায় বেড়ে গিয়েছে তরমুজের বিক্রিও। অনেকেই তরমুজ কিনে গাছের ছায়ার তলায় জিরোতে জিরোতে খাচ্ছেন। মাচানতলা মোড়ের তরমুজ ব্যবসায়ী বিষ্ণু সহিসের কথায়, “এই দু’দিন চুটিয়ে বিক্রি হয়েছে। ক্রেতার ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছি।” পৌষমাস মাচানতলা এলাকার আখের রস, ডাবের দোকানদারদেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন