যক্ষ্মা রুখতে ডাক ওষুধ বিক্রেতাদেরও

সোমবার রামপুরহাট রেলওয়ে ইনস্টিটিউট হলে ‘বেঙ্গল কেমিস্ট ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর বীরভূম জেলা শাখার রামপুরহাট জোনের উদ্যোগে এক সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

যক্ষ্মা নির্মূল করতে এ বার ওষুধ বিক্রেতাদের এগিয়ে আসার আবেদন জানাল স্বাস্থ্য দফতর। ওই রোগ মোকাবিলায় ‘সিডিউল এইচ১’ ওষুধ বিক্রির তথ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানাবেন ওষুধ বিক্রেতারা। দফতরের দাবি, তাতে যক্ষ্মা রোগীদের চিহ্নিত করে সঠিক চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে সুবিধা হবে।

Advertisement

সোমবার রামপুরহাট রেলওয়ে ইনস্টিটিউট হলে ‘বেঙ্গল কেমিস্ট ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর বীরভূম জেলা শাখার রামপুরহাট জোনের উদ্যোগে এক সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসের আধিকারিক, পরিদর্শক, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার, ডেপুটি সিএমওএইচ (২) স্বপন ওঝা। ওই সম্মেলনে সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই এলাকার ওষুধ বিক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এখনও অনেক যক্ষ্মা রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়ার বিষয়টি জানেন না। সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বদলে অন্য কোথাও চিকিৎসক দেখিয়ে, প্যাথোলজি কেন্দ্রে পরীক্ষা করে, দোকান থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা করছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সে সব তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পৌঁছয় না। তাতে যক্ষ্মা রোগীদের চিহ্নিত করে চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছে। ব্রজেশ্বরবাবু বলেন, ‘‘ওই রোগ নির্মূল করতে ওষুধ ব্যবসায়ী, প্যাথোলজি সেন্টারের সাহায্য দরকার।’’ তিনি জানান, এ বার থেকে ওষুধ বিক্রেতা, প্যাথলজি সেন্টারগুলিকে যক্ষ্মা রোগীদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে।

Advertisement

সম্মেলনে বীরভূম জেলা ড্রাগ কন্ট্রোলের সহকারি আধিকারিক গৌতম সেন, সিনিয়র পরিদর্শক সঞ্জীব সামন্ত বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে চলার কথা জানান। ওই সংগঠনের বীরভূম জেলা সম্পাদক তপন রায়, সভাপতি সুকুমার চট্টোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর ও ড্রাগ কন্ট্রোলের নির্দেশ মেনে চলার আশ্বাস দেন। সিএমওএইচ আরও জানান, রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষায় ‘সিবিন্যাট’ যন্ত্র বসানো হয়েছে। বিনামূল্যে ওই যন্ত্রের পরিষেবা মিলবে। প্রতিটি ব্লকে আশাকর্মীদের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগীদের চিহ্নিত করতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন