হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও বধূর মৃত্যুর কারণ নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট জমা পড়ল না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে পুরুলিয়া শহরের কসাইমহল্লা এলাকার বধূ সানা পারভিনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তাঁর মা নাসিমা পারভিনের দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল। জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল এবং ঝাড়খণ্ডের যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই বধূর মৃত্যু হয়, তার কর্তৃপক্ষকে আমরা আদালতের নির্দেশ জানিয়েছিলাম। তাঁরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা আদালতে পেশ করা হয়েছে।’’ অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবী সৌগত মিত্র জানান, সেই রিপোর্ট মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তৈরি করা হয়নি। তিনি জানান, এ দিন বিচারক জয়মাল্য বাগচি জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
সৌগতবাবু জানান, চলতি বছরে ১৫ এপ্রিল সানা পারভিনকে অসুস্থ অবস্থায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বোকারোর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই বধূর। সানার মা নাসিমা পারভিন মেয়ের স্বামী, দেওর, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন তিনি। নাসিমার আইনজীবী সৌগত মিত্র জানান, মৃত্যুর পর দেহের ময়না তদন্ত করানো হয়নি। মামলাটি আদালতে উঠলে ২৬ জুলাই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ওই বধূর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রিপোর্ট জমা করতে জেলা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানান, বিচারকের নির্দেশ মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলায় ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ বি প্রয়োগ করা হয়। এ দিনের শুনানি প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেন, ‘‘ নির্দেশের কপি পাইনি। পেলে নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ করব।’’