সিউড়ি আদালত চত্বরে শের খান। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
এ যেন গালিভার! গড়পড়তা সাড়ে পাঁচ ফুটের বাঙালি লিলিপুট না হলেও ৮ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা এক ভিনদেশির কাছে বামন তো নিশ্চয়ই।
এমন এক ‘অতিমানবের’ দর্শন পেতে আমজনতা কৌতূহলী হয়ে উঠবেন সেটাই স্বাভাবিক। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের যুবক, বছর পঁচিশের শের খানের উপস্থিতিতে সিউড়ি শহরে তেমনটাই ঘটল বৃহস্পতিবার সকালে। ভিড় সামলাতে শেষমেষ হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে।
বেলা ১১টা নাগাদ সিউড়ি আদালত চত্বরে দেখা মিলছিল বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘদেহীর। পরনে কালো রংয়ের পাঠান স্যুট। ফর্সা গায়ের রং। মুখের গড়ন অনেকটা ভারতীয় কুস্তিগীর খালির মতো। হঠাৎ এমন এক অতিমানবের উপস্থিতির খবরটা ছড়িয়েছিল দাবানলের গতিতে। আদালত চত্বরে বাড়তে থাকে ভিড়। তাঁর পিছু ছুটতে ছুটতে কেউ বলল, ‘‘দেখছিস, ওই সিমেন্ট কোম্পানির বিজ্ঞাপনের লোকটা।’’ কেউ আবার ‘অতিমানবের’ পাশ দিয়ে যেতে যেতে নিজের অস্তিত্ব জরিপ করে নিচ্ছিলেন। সবমিলিয়ে সে এক হুলস্থূল কাণ্ড। তাঁকে দেখে মানুষের এই অতি উৎসাহে রীতিমতো বিব্রত এবং বিরক্তি বোধ করছিলেন শের খান।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে দেখে তার মেয়াদ বাড়াতে এ দিন সিউড়ি আসেন আফগান যুবক। পরিচিত কারও সুবাদেই হয়তো বীরভূমে আসা। বুধবার হাওড়া স্টেশন থেকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে চড়ে বোলপুর আসেন তিনি। সেখান থকে বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ি। পরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে থাকা অভিবাসন দফতরে পৌঁছন। বাইরে তখন প্রচুর মানুষের ভিড়। বুধবার ঠিক এমনটাই ঘটেছিল হাওড়া স্টেশনে। এত লম্বা এক মানুষকে দেখতে উপচে পড়েছিল যাত্রীদের ভিড়। হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রেল পুলিশকে।
এ দিনও ভিড় সামাল দেন সিউড়ি থানার পুলিশ কর্মীরা। অভিবাসন দফতর থেকে আর সামনে দিয়ে বের করা হয়নি শের খানকে। পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে বের করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ।