সন্দেহের বশে স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে মাথায় মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রামপুরহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় শেফালি সিংহ নামে ওই বধূ বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আক্রান্ত মহিলার বাবা ফটিকচন্দ্র দাস বুধবার সকালেই জামাই সেন্টু সিংহের বিরুদ্ধে থানায় খুনের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে সতেরো বছরের ছেলে মিলন এবং স্বামী সেন্টুর সঙ্গে থাকেন ওই মহিলা। এ দিন বর্ধমানে রেফার হওয়ার আগে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেফালিদেবী বলেন,‘‘স্বামী আমাকে অকারণে দীর্ঘ দিন ধরে সন্দেহ করে। সন্দেহের বশে আগেও কয়েক বার গালিগালাজ, মারধর করেছে। মঙ্গলবার রাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ঘটনার রাতে ১টা নাগাদ গালিগালাজের বিরুদ্ধে সরব হতেই সেন্টু বাড়িতে থাকা কুড়োল দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। ঘটনার সময়ে বাড়িতেই ছিল ছেলে মিলনও। তাঁর দাবি, ‘‘বাবা সন্দেহ করে মাকে প্রায় দিনই বাজে কথা বলত, মারধরও করত। আমি এ ব্যাপারে বাবাকে অনেক বার বুঝিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’ মিলন জানায়, রাতে মায়ের আর্ত চিৎকার শুনে সে সেখানে ছুটে যায়। দেখতে পায়, শেফালিদেবীর মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। বাবা বাড়ির পাঁচিল টপকে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশীদের জড়ো করে মিলনই তার মাকে নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে যায়। পরে অভিযুক্ত সেন্টু রামপুরহাট থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
গাফিলতিতে মৃত্যু। চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল। ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে মৃতের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্ধমানের সরাইটিকরের বাসিন্দা রামচন্দ্র ভগত (৫৫) ভর্তি হন। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই রোগীর পরিজনেরা গাফিলতির অভিযোগে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।