Coronavirus

রামপুরহাট শহরে ফের করোনা আক্রান্ত যুবক   

আক্রান্তের স্ত্রী জানান, বাড়ি ফেরার পরে স্বামী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৪:২৩
Share:

ঝুঁকি: মাস্ক ছাড়াই দলবেঁধে পথে। রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় ফের করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত যুবকের বাড়ি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। পেশায় দর্জি ৩৫ বছরের ওই যুবক দিল্লি থেকে ২৫ মে বাড়ি ফিরেছিলেন। আর রবিবার নতুন করে শুধু রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলাতেই নতুন করে ২৭ জনের করোনা সংক্রমণ মিলেছে।

Advertisement

আক্রান্তের স্ত্রী জানান, বাড়ি ফেরার পরে স্বামী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান। সেখানে থার্মাল টেস্ট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে দু’দিন থাকার পরে কাশি হতে থাকে। এর পরে ২৭ মে ফের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তখন ভর্তি করে নেওয়া হয়। ৩১ মে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা পরিবারের ১১ জন সদস্যকে সরকারি নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। ওই যুবক আর কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তার তালিকা করা হচ্ছে। আক্রান্ত যুবকের পরিবারের দাবি, রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নন হোম কোয়রান্টিনে কোনও পরিকাঠামোই নেই। দুপুরের খাবারও দেওয়া হয়নি। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুকান্ত সরকার নন হোম কোয়রান্টিনে ত্রিপল পাঠিয়ে আক্রান্ত যুবকদের বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

Advertisement

দিন চারেক আগে পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভ এক কিশোরের হদিস মিলেছিল। কিশোরটি সপরিবার ৫ সদস্য মুম্বই থেকে রামপুরহাটে এসেছিল। এ দিকে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় রবিবার এক দিনে ২৭ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলতেই উদ্বেগ আরও বেড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। তবে রামপুরহাটের কোভিড হাসপাতাল থেকে এ দিন ৬ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রামপুরহাট শহরে পরপর করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিললেও এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা এখনও তৈরি হয়নি বলে অভিযেগ অনেকের। বাজার, দোকান অনেক জায়গাতেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সেন অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, কিছু মানুষ এখনও সতর্ক হচ্ছেন না।’’ তিনি জানান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজ‌ করা চলছে। এলাকার বাসিন্দারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তার জন্য আবারও মাইকিং করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন