কাজ স্থগিত, জারি ১৪৪ ধারা

মাঝ পুকুরেই উঠছে পাঁচিল

প্রমোটারদের নজর পড়েছে এলাকার পুকুরে। সংস্কারের নামে মাটি ফেলে পুকুর ভরাট করে জমি বেচার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হল এলাকাবাসী। অভিযোগ পেয়েই পুকুর পরিদর্শন করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন মহকুমা শাসক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৫
Share:

বিতর্কিত: বাঁকুড়া শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ময়রাপুকুর ভরাটের অভিযোগে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

প্রমোটারদের নজর পড়েছে এলাকার পুকুরে। সংস্কারের নামে মাটি ফেলে পুকুর ভরাট করে জমি বেচার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হল এলাকাবাসী। অভিযোগ পেয়েই পুকুর পরিদর্শন করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন মহকুমা শাসক। শীঘ্রই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ নিয়ে শুনানি শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।

Advertisement

৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি এলাকার ময়রাপুকুর নিয়ে বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানাধিন। তবে মালিক কে বা কারা তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা এলাকার বাসিন্দাদের অধিকাংশেরই নেই। ওই পুকুরটি দৈনন্দিন কাজে অনেকেই ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে কিছু লোকজন ওই পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করে। যন্ত্র দিয়ে পুকুরের মাটি তুলে পাড়ে রাখা শুরু হয়। পুকুরের মধ্যেই শুরু হয় দেওয়াল গাঁথা।

ঘটনাটি নজরে আসতেই প্রতিবাদে সরব হন সুকান্তপল্লির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই মাটি ফের যন্ত্র দিয়ে পুকুরে ফেলে মাঝ পুকুরে দেওয়াল গাঁথা হচ্ছে। পুকুর বাঁচানোর দাবিতে সোমবার বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেন সুকান্তপল্লির কয়েকশো বাসিন্দা। অভিযোগ পেয়েই ওই পুকুর পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) অসীমকুমার বালা। সব দিক খতিয়ে দেখেই তিনি পুকুরে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। সুকান্তপল্লির প্রবীণ বাসিন্দা গৌর সিংহ, মানিক দাসরা বলেন, “পুকুরটা ভরাট করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল। জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে এই পুকুরে। তবে কোনও ভাবেই আমরা এটা হতে দেব না।’’

Advertisement

এলাকার বধূ অঞ্জনা দে, মালা বাগদি, গীতা বাগদিদের কথায়, “ওই পুকুরের জলে জামা কাপড় কাচা থেকে স্নান সব কিছুই করা হয়। কয়েক বছর আগেও পুকুরটি আরও বড় ছিল। ধাপে ধাপে সেটি ছোট করে দিচ্ছে জমি মাফিয়ারা।” এই ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ করে স্থানীয় ছ’জনের নাম মহকুমাশাসককে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন এলাকায় গিয়ে ওই অভিযুক্তদের দেখা মেলেনি।

মহকুমাশাসক বলেন, “ওই পুকুরের জমির রেকর্ড খতিয়ে মালিকানা ও অন্য বিষয় দেখা হবে। এলাকাবাসী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব। আপাতত পুকুরে কোনও রকম কাজ যাতে না হয় তার নির্দেশ দিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন