Indian Air Force

সুরিচুয়া বিমানঘাঁটি পাঁচিলে ঘিরতে আলোচনা বায়ুসেনার

বুধবারই জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন বায়ুসেনার একটি প্রতিনিধিদল।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

সীমান্ত নিয়ে চিন-ভারত দ্বন্দ্বে উত্তাপ ছড়িয়েছে লাদাখ থেকে অরুণাচলে। ঠিক সেই সময় তাদের অধীনে থাকা রামপুরহাটের সুরিচুয়া এয়ারবেস বা বিমানঘাঁটির কথা গুরুত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা। যে এয়ারবেসের রানওয়ে থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিয়মিত যুদ্ধ বিমান উড়েছিল।

Advertisement

বুধবারই জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন বায়ুসেনার একটি প্রতিনিধিদল। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘বায়ুসেনার প্রতিনিধিদল এয়ারবেসের মানচিত্র দেখিয়েছেন। সেটা আমরা স্টাডি করেছি। মূলত ওঁরা চাইছেন, বায়ুয়েনার অধীনস্থ এলাকায় একটি সীমানা প্রাচীর দিতে।’’

বায়ুসেনা ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে থেকে রামপুরহাটের ওই বিমানঘাঁটিকে পুনরায় কার্যকরী অবস্থায় ফিরিয়ে আনার তৎপরতা শুরু হয়েছিল বিমান বাহিনীর তরফে। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এয়ারবেস থেকে ১০০ কিমি দূরে সুরিচুয়া বিমানঘাঁটি। কিন্তু একাধিক রানওয়ে যুক্ত এই বিমানঘাঁটির অবস্থানগত গুরুত্ব রয়েছে। প্রয়োজনে যাতে এই বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধ বিমান উঠানামা করতে পারে তৎপরতা সেই কারণেই।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থেকে ১১ কিমি দূরে কুসুম্বা পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা বিমানঘাঁটি থেকে মাঝে দু-একটি বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ওঠানামা করলেও যুদ্ধ বিমান ওঠানামা করতে বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ভাবনা থাকলেও কাজ তেমন এগোয়নি। দীর্ঘদিনের অব্যবহারে জঙ্গলাকীর্ণ বিমানঘাঁটির রানওয়েগুলিকে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলার আগে প্রয়োজন ছিল প্রায় ৫০০ একরের বেশি জমিকে একটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া। এতদিন তেমন তাড়া না থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সুরিচুয়া বিমানঘাঁটিকে কার্যকর করে তুলতে চাইছে বায়ুসেনা। কিন্তু, পরিত্যক্ত ওই বিমানঘাঁটিতে দীর্ঘদিন ধরে ৩০-৪০টি পরিবার বসবাস শুরু করেছে। তাদের না সরিয়ে পাঁচিল দিয়ে জায়গাটি ঘিরে ফেলা কাজ করা অসম্ভব। সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের সাহায্যে সেই কাজটাই করতে চায় বায়ুসেনা।

বুধবারের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কাছে তোলেন বায়ুসেনার প্রতিনিধি দল। কিন্তু জেলা প্রশাসনে জানিয়েছে, এই কোভিড পরিস্থিতিতে হুট করে পরিবারগুলিতে সরানো কঠিন। প্রশাসনের ওই কর্তা বলেন, ‘‘এমনিতেই বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেছে বায়ুসেনা। তা ছাড়া পুর্নবাসন দিয়েও যদি পরিবারগুলিকে সরাতে হয়, তাহলেও আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন। তার জন্য কিছুটা সময়ও লাগবে। বায়ুসেনার প্রতিনিধি দলকে এ দিন তা জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন