শিশু চুরিতে ধৃত ইন্দাসের দম্পতি

এক বছরের শিশুকে চুরির অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহর লাগোয়া চাঁদাইপুরের কাছ থেকে রামু মুর্মু ও মনীষা মুর্মু নামে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ০১:৪২
Share:

এক বছরের শিশুকে চুরির অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহর লাগোয়া চাঁদাইপুরের কাছ থেকে রামু মুর্মু ও মনীষা মুর্মু নামে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার বাজিতপুর গ্রামে। শুক্রবার বর্ধমান আদালত থেকে জামিনও পেয়ে যান তাঁরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “নাম ভাঁড়িয়ে ওই মহিলা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। গ্রেফতাররের পর আসল নাম জানা গিয়েছে।’’

ওই শিশুটির বাবা-মা বিদ্যুৎ মাঝি ও রিম্পা মাঝি শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপুকুর-সদরঘাটের কাছে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় একটি চালকলে কাজ করেন বিদ্যুৎবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়ির পাশেই মাস তিনেক আগে সুস্মিতা মণ্ডল নামে এক মহিলা ভাড়া আসেন। দুই পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও হয়। গত ২৩ মে বাজার করতে এক বছরের ছেলে ঋজুকে নিয়ে কার্জন গেট চত্বরে আসেন রিম্পাদেবী। সঙ্গে ছিলেন সুস্মিতাও। অভিযোগ, বাজারের ফাঁকে ছেলেকে সুস্মিতার কোলে দিয়ে শৌচাগারে যান রিম্পাদেবী। ফিরে দেখেন সুস্মিতাও নেই। নেই একমাত্র সন্তানও। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ছেলেকে না পেয়ে কাছেই মহিলা থানায় ছুটে যান রিম্পাদেবী। ততক্ষণে খবর পেয়ে চলে আসেন বিদ্যুৎবাবু। মহিলা থানার পরামর্শে ওই দম্পতি বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে লাগাতার খোঁজ চালিয়ে চাঁদাইপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শিশু চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে ওই মহিলার স্বামীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানান, বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হলেও কোনও সন্তান হয়নি তাঁদের। তার উপর ৬ মাস আগে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ায় সন্তানের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই মনীষাদেবী ভুল করে ছেলে নিয়ে চলে এসেছিলেন। যদিও বক্তব্যে পুরোপুরি সত্যি বলে মানেনি পুলিশ।

বারো দিন পরে ছেলেকে পেয়ে খুশি মাঝি দম্পতি। তাঁরা বলেন, “ওই মহিলাকে কত বিশ্বাস করেছিলাম। সেই কি না আমার ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গেল। ভাবতেই পারছিলাম না। এখন তো মনে হচ্ছে, পরিকল্পনা করেই আমাকে বাজারে নিয়ে এসেছিল। ঈশ্বরের কৃপায় ছেলেকে ফিরে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন