BJP CONFLICT

প্রস্তুতি বৈঠকে গোষ্ঠীকোন্দল বিজেপিতে 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা   

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি

আসন্ন পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠকেই ধুন্ধুমার ঘটল বীরভূম জেলা বিজেপির বৈঠকে। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাটে দলের জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে বৈঠক চলাকালীন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। চিৎকার চেঁচামেচিতে থমকে যায় বৈঠকে নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা। পরে বিজেপির কিসান মোর্চার জেলা সভাপতি সোমনাথ ঘোষ-সহ তিন জনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

Advertisement

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রামপুরহাট কামারপট্টি মোড় সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে রামপুরহাট পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছিল। বৈঠকে বিজেপির রামপুরহাট শহর মণ্ডল কমিটি এবং শক্তিকেন্দ্রের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল-সহ জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় ও জেলাস্তরের অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক চলাকালীন বিজেপির কিশান মোর্চার জেলা সভাপতি ও তাঁর সাত-আটজন অনুগামী দলের জেলা সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন, শহর মণ্ডল কমিটির সভাপতির নির্দেশে দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের সভা করতে দেওয়া হয় না। এরপরেই শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ। সম্প্রতি রামপুরহাট দলীয় কার্যালয়ে একই অভিযোগে পোস্টার সাঁটানো হয়। কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় একপক্ষ। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিজেপি কর্মীদের একাংশ দলের জেলা সভাপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের জেলা সভাপতির হস্তক্ষেপের দাবি করেন কিশান মোর্চার নেতৃত্বও। দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি থামান অন্য নেতারা। বিজেপির জেলা সভাপতির বক্তব্য, ‘‘কয়েকজন কিছু দাবি নিয়ে আলোচনা করার জন্য এসেছিল। এই নিয়ে কর্মীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। আমি কিষান মোর্চার নেতৃত্বের সঙ্গে পৃথক ভাবে বসার কথা বললে তারা চলে যায়। এর বেশি কিছু হয়নি।’’

উল্লেখ্য, গত বছরও বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কিশান মোর্চাকে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে রামপুরহাট মণ্ডল কমিটির সভাপতি নীলকন্ঠ বিশ্বাসের সঙ্গে সোমনাথবাবুর মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়। পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করে। ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন ঘিরে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল পদত্যাগ করেছিলেন। এর জেরে নির্বাচনে ফল আশানুরুপ হয়নি বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে দুধকুমার রামপুরহাট বিধানসভার প্রার্থী হওয়ার পরে রামপুরহাটের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর প্রবেশ নিয়ে আপত্তি তোলে বিজেপি কর্মীদের একাংশ। এবারও পুর নির্বাচনের আগে বিজেপির মাত্রা ছাড়া গোষ্ঠী কোন্দলে ফল ভাল হবে না বলেই আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন