সংরক্ষণ: উদ্ধার বাসি মাংস। (ইনসেট) মাংসের পাত্রে পোকা। নিজস্ব চিত্র
তিন দিন আগের কথা। সিউড়ির বেণীমাধব মোড়ের এক মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে মহম্মদবাজারের এক দম্পতি অভিযোগ করেছিলেন, তিনি তাঁদের পচা মাংস বিক্রি করেছেন। তার জেরে এ নিয়ে পদক্ষেপ করার ঘোষণা করেছিল পুরসভা।
কিন্তু সে কথায় যে শহরের মাংস বিক্রেতারা ততটা গুরুত্ব দেননি, শনিবার সকালে পুর-অভিযানে তা স্পষ্ট হল।
এ দিন সকালে পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন খাসির মাংসের দোকানে অভিযান চালায় পুরসভা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সেই অভিযানেই উদ্ধার হয় প্রায় ৭০ কিলোগ্রাম বাসি মাংস। তার মধ্যে ১০ কিলোগ্রাম ছিল পচা, দুর্গন্ধযুক্ত। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘ফ্রিজে রেখে বাসি বা পচা মাংস যে সব ব্যবসায়ী বিক্রি করেছেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার তাঁদের পুরসভায় ডাকা হয়েছে।’’ সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেশ কিছু দোকান রয়েছে যাদের লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়া মাংস বিক্রি করা যাবে না। লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানে বাসি মাংস বিক্রি হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমরা এ বার থেকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। লাগাতার অভিযান চলবে।’’
শহরবাসীর অভিযোগ ছিল, ভাগাড়-কাণ্ডের পরে পুর এলাকার খাবার ও মাংসের দোকানে অভিযান ও নজরদারি চললেও তা কিছু দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তার সুযোগ নিচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী। এ দিন অভিযানে বেরিয়ে তারই প্রমাণ পেলেন পুরকর্তারা। পুরসভা জানায়, এ দিন বেণীমাধব মোড়, বাসস্ট্যান্ড ও মসজিদ মোড় লাগোয়া ২০টি দোকানে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখান থেকেই বিপুল পরিমাণ বাসি, পচা মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।