আয়োজন: জলাশয়ের উত্তর দিকের এই পাড়েরই সৌন্দর্যায়ন হবে। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিন ধরেই জবরদখলের চাপে গতি হারিয়েছে সুবিস্তৃত লালবাঁধ। সঙ্গে জলজ উদ্ভিদ গতি রুদ্ধ করেছে। অনেকদিন ধরেই এই লালবাঁধ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছিলেন বিষ্ণুপুরবাসী। এবার সেই দাবি মেটাতে সচেষ্ট হল স্থানীয় প্রশাসন।
লালবাঁধ সংস্কারের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে কাজে নামছে রাজ্যের সেচ দফতর। প্রকল্প খাতে মোট বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। সোমবার বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি সরকারি বৈঠকে হাজির ছিলেন সেচ দফতর, বিদ্যুৎ দফতর, লালবাঁধ ট্রাস্টি বোর্ড, বিষ্ণুপুর পুরসভার আধিকারিক বৃন্দ।
লালবাঁধে পরিযায়ী পাখিদের কথা ভেবে পৃথক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। বাঁধের জলে ভেসে থাকা জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কার করা হবে। বাঁধের জল কিছুটা কমানোর জন্য বাঁধের পাড় কেটে ব্যবস্থা নেবে সেচ দফতর। বাঁধের পাড় থেকে ২০ ফুট দূরে মাঝবাঁধে একটি ৪০ ফুট গভীর চ্যানেল আছে, তা সুরক্ষিত করা হবে মৎস্য চাষের জন্য। বাঁধের উত্তর দিক বরাবর ৩৪ ফুট রাস্তা লালগড়ের রাস্তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে পর্যটকদের যেমন লালগড়ে যাওয়া সহজ হবে তেমনি শহরের যানজট অনেকটাই কমানো যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
লালবাঁধের পূর্ব পাড়ে একটি কৃত্রিম টিলা নির্মিত হবে যেখানে পর্যটকদের চাহিদা মত সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বোল্ডার পিচিং করা হবে।
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, “সরকারি ভাবে বাঁধের সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। লালবাঁধের পাড়গুলির সৌন্দর্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষ্ণুপুর পুরসভাকে। বিদ্যুৎ দফতর আলোর বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়াও লালবাঁধে ঢোকার আগেই সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনের ঘাটটি সংস্কার করে সেখানে সারদা-রামকৃষ্ণের মূর্তি বসানো হবে পর্যটকদের কথা ভেবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের স্নানের উপযোগী দু’টি ঘাট সংস্কার করা হবে।”
সব মিলিয়ে বিষ্ণুপুর নতুন ভাবে সেজে উঠছে বলেই দাবি স্থানীয় মানুষদের। খুব শীঘ্রই বিদেশি পর্যটকদের একটি দল বিষ্ণুপুরে আসছেন। সেই কারণে পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজতে চান বলে জানান মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর)।