ব্লক অফিসে ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্প বেহাল

২০১০-২০১১ অর্থিক বছরে নানুর ব্লক প্রশাসন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে ব্লক চত্বরে ওই প্রকল্প গড়ে তোলে। ব্লক কার্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে বৃষ্টির জল ধরে রেখে ব্লক চত্বরের গাছে সেচের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০০:০৪
Share:

জলাধার: বৃষ্টির জল সংরক্ষণ প্রকল্পের কাঠামো। নানুর ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল নানুর ব্লক অফিসের ‘জল ধরো জল ভরো প্রকল্প’। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমন পরিস্থিতি। প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই।

Advertisement

প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃষ্টির জল ধরে রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী সেচের কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি ভূগর্ভে ফিরিয়ে দিয়ে ভূর্গভস্থ জলের ভাণ্ডারের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ওই প্রকল্পের সূচনা করেন।

২০১০-২০১১ অর্থিক বছরে নানুর ব্লক প্রশাসন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে ব্লক চত্বরে ওই প্রকল্প গড়ে তোলে। ব্লক কার্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে বৃষ্টির জল ধরে রেখে ব্লক চত্বরের গাছে সেচের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই সব ভবনের ছাদের জলের নিকাশি পথে পাইপ বসিয়ে তা একটি জলাধারে সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন গাছে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, বছর তিনেকের মধ্যেই প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। সেটি চালু করার ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর হয়নি।

Advertisement

প্রকল্পের ব্লক কারিগরী সহায়ক বিশ্বজিৎ সিংহ অবশ্য জানিয়েছেন, অন্যদের উৎসাহিত করতে ব্লকের প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক ভাবে করা হয়েছিল। কীর্ণাহার শিবচন্দ্র হাইস্কুলে উন্নত মানের কার্যকরী প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বিজেপির মণ্ডল কমিটির সদস্য বিনয় ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারি অর্থের অপচয় করা ছাড়া আর কী-ই বা বলা যেতে পারে।’’ বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল জানান, প্রকল্পটি ব্লকের প্রধান ভবন থেকে দূরে বলে রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। তবে সেটি নতুন ভাবে তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন