বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে নিজের রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক সিআইএসএফ জওয়ান। মৃত জওয়ানের নাম সুনীল কুমার (২৮)। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথপুরের ডিভিসির নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুতকেন্দ্রে সিআইএসএফের পোস্টের সামনেই। পরে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক কিছু সমস্যার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই জওয়ান। পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জওয়ান কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) দ্বিতীয় রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল পদে রঘুনাথপুরে ডিভিসির বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলিতে। মাস চারেক আগে বিয়ে হয়েছে তাঁর। এপ্রিল মাসেই ছুটি থেকে ফিরে রঘুনাথপুরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ ডিউটিতে যোগ দিতে ব্যারাকে এসে নিজের কাছে থাকা ইনসাস রাইফেল নিয়ে পোস্টের অদূরে একটি সিড়ির উপরে বসে রাইফেলের নল চিবুকে লাগিয়ে পরপর দু’টি গুলি চালান তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে হটাৎ করে কেন আত্মহত্যা করলেন ওই জওয়ান? তা নিয়ে কিছুটা ধন্দে রয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা।
দু’টি দেহ উদ্ধার। দু’টি পৃথক জায়গা থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন স্কুলছাত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে রঘুনাথপুর থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর ষোলোর ছাত্রী সুপর্না দাসের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ছাত্রী। অন্য দিকে, কাশীপুর থানার দইকেয়ারী গ্রামের অদূরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে মালা মুদি (৪০) নামে এক মহিলার। বাড়ি কাশীপুর থানার সিদপুর গ্রামে। প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেনি।