বামের পাশে তৃণমূলও

বুধবার কেরলের বন্যাপীড়িত মানুষজনের জন্য শহরের পথে নেমেছিলেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। কাঁধে লাল পতাকা। সিপিএমের কর্মীরা পথচলতি মানুষজনের কাছে আবেদন রাখছিলেন সাধ্যমতো সাহায্যের জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৮
Share:

সাহায্যের হাত: কেরলের জন্য তহবিল সংগ্রহ। পুরুলিয়া শহরের ইদগাহ মাঠের বাইরে। ছবি: সুজিত মাহাতো

কেরলের বিপন্ন মানুষের কষ্ট কিছুক্ষণের জন্য মুছে দিল পুরুলিয়ার রাজনীতির বেড়া। ত্রাণ সংগ্রহে সিপিএমের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই পা মেলালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বুধবার উৎসবের দিনে ‘আমরা-ওরা’র বিভেদ মুখে এমনই দৃশ্য দেখল পুরুলিয়া শহর।

Advertisement

বুধবার কেরলের বন্যাপীড়িত মানুষজনের জন্য শহরের পথে নেমেছিলেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। কাঁধে লাল পতাকা। সিপিএমের কর্মীরা পথচলতি মানুষজনের কাছে আবেদন রাখছিলেন সাধ্যমতো সাহায্যের জন্য।

তখন তাঁরা জগন্নাথ কিশোর কলেজ রোডে ত্রাণ সংগ্রহ করছিলেন। ইদ উপলক্ষে দলের কর্মীদের নিয়ে সেই এলাকাতেই ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সোহেলদাদ খান। সিপিএমের নেতা-কর্মীদের ত্রাণ সংগ্রহ করতে দেখে তিনি এগিয়ে যান। তিনিও সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষজনের কাছে ত্রাণের জন্য আবেদন করেন। অনেকেই তাঁদের আহ্বানে সাড়া দেন।

Advertisement

সিপিএম নেতা বিভূতি পরামাণিক বলেন, ‘‘সোহেল তৃণমূলের কাউন্সিলর হলেও আমাদের সঙ্গে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন দেখে ভাল লাগল। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। মানুষের জন্য আমরা পথে নেমেছি দেখে তিনিও সামিল হন। এটাই পুরুলিয়ার রাজনৈতিক সংস্কৃতি।’’

শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোহেলদাদ বলছেন, ‘‘বিপন্নতা তো রাজনীতির রং দেখে না। তাই কেরলের বন্যাপীড়িত মানুষদের জন্য সিপিএমের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ত্রাণ সংগ্রহ করতে দেখে আমি পুরুলিয়ার এক জন বাসিন্দা হিসেবে নেমেছিলাম। এখানে রাজনৈতিক ভেদাভেদ থাকবে কেন?’’

সোহেলের বাবা সামিমদাদ খান পুরুলিয়ার পুরপ্রধান। রাস্তায় সিপিএম কর্মীদের ত্রাণ সংগ্রহ করতে দেখে তিনি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সিপিএমের ত্রাণ সংগ্রহ অভিযানে ছেলের সামিল হওয়াকে সমর্থনই করেছেন তিনি।

সামিমদাদ বলেন, ‘‘মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। সোহেলও সেই ডাকেই সামিল হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন