কাঁকিলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র

ডাক্তার নেই, বহিরাগতের ভিড়

প্রায় বছর খানেক ধরে কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নেই। একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স এবং একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিমসিম খান রোগী সামলাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০১:১৫
Share:

ঠেক: পোড়ো আবাসনে। নিজস্ব চিত্র

প্রায় বছর খানেক ধরে কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নেই। একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স এবং একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিমসিম খান রোগী সামলাতে। বিষ্ণুপুরের কাঁকিলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা এমনটাই। অবিলম্বে সেখানে চিকিৎসক নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

বিষ্ণুপুর ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়তের বিষ্ণুপুর-সোনামুখি রাস্তায় কাঁকিলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে গড়ে উঠেছিল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। উলিয়াড়া এবং অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইকপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর, আমরেল, ধরাপাট, জনতা, পেনো, ডিহর, বেলেরা, গুমুট, পানরডাঙর, কাঁকিলা-সহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় হাজার দশেক মানুষের এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরিষেবা পাওয়ার কথা।

শুক্রবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, ফার্মাসিস্ট ছুটিতে রয়েছেন। নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সামলাছেন রোগীদের। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স রিঙ্কু দে জানান, প্রতিদিন দেড়শো থেকে দু’শো জন আউটডোরে আসেন। জামকুড়ি গ্রাম থেকে আসা উজ্জ্বল দাশগুপ্ত, উলিয়াড়ার মহাদেব দে এবং হিংজুড়ির মিনতি সেন বলেন, ‘‘এক সময়ে এখানে প্রসব করানো হতো। নার্স, চিকিৎসক সব সময়ে থাকতেন। রাত বিরেতে এসেও পরিষেবা পেয়েছি। আর এখন কী দশা!’’

Advertisement

কাঁকিলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগীকল্যাণ সমিতির সম্পাদক মনোরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে প্রতি দুই মাস অন্তর আলোচনায় বসছি আর বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে আবেদন করে যাচ্ছি। যদি একজন চিকিৎসক নিয়োগ করে বিকেল পর্যন্ত আউটডোর চালু রাখা যেত তাহলেই হতো। কিন্তু কিছুই হয়নি।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তুলেছেন। মুরুলি দে, তাপস দাস, নিলু রুইদাসরা বলেন, ‘‘সাফাইকর্মী, নার্স, চিকিৎসকদের আবাসন ছিল। দীর্ঘদিন সে সব ব্যবহার হয় না। পোড়ো বাড়ি হয়ে রয়েছে। পাঁচিলও নেই। জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। বহিরাগতদের আনাগোনাও লেগে থাকে।’’

কাঁকিলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন বিএমওএইচ (বিষ্ণুপুর) হিমাদ্রীকুমার ঘটক। কাজের চাপে তিনি নিয়মিত সেখানে যেতে পারেন না তিনি। দু’ কিলোমিটার দূরে রাধানগর গ্রামীণ হাসপাতালে বসেন। হিমাদ্রীবাবু বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক উত্তরবঙ্গে বদলি হয়ে যাওয়ার পরে শূন্যপদ দীর্ঘদিন ধরে পূরণ হয়নি। বিষয়টি সিএমওএইচ-কে জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন