রোগী দেখে ওষুধটাও দেন চিকিৎসক নিজে

মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানাচ্ছেন, দৈনিক বিভিন্ন বিভাগে ৪০০ রোগী চিকিৎসা করাতে এলে, তার মধ্যে গড়ে ১০০ জন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা করাতে আসছেন। রোগীদের ভিড়ে গোলমাল হওয়ায় মাসখানেক আগে তাঁদের সামাল দিতে সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করতে হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৭
Share:

রোগী দেখছেন চিকিৎসক প্রদ্যোৎ দাস । নিজস্ব চিত্র

রয়েছে অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদ ও হোমিয়োপ্যাথি বিভাগ। তারই মধ্যে হোমিওপ্যাথি ভিড় টেনে নিচ্ছে অন্য বিভাগের। মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানাচ্ছেন, দৈনিক বিভিন্ন বিভাগে ৪০০ রোগী চিকিৎসা করাতে এলে, তার মধ্যে গড়ে ১০০ জন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা করাতে আসছেন। রোগীদের ভিড়ে গোলমাল হওয়ায় মাসখানেক আগে তাঁদের সামাল দিতে সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করতে হয়েছে।

Advertisement

মানবাজারের বিএমওএইচ রামকৃষ্ণ হেমব্রম বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে হোমিয়োপ্যাথি বিভাগে রোগীর চাপ বেশি। চিকিৎসক প্রদ্যোৎ দাসই রোগী দেখেন, ওষুধও তৈরি করেন। তাঁকে সাহায্য করার জন্য এক জন সহায়ক চাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে কর্মী বাড়ন্ত বলে তাঁকে সহায়ক দেওয়া সম্ভব হয়নি।’’

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা করাতে অনেকে আসছেন। সেখানে এক জন সহায়কের প্রয়োজন বলে জানি। আগামী বছরের গোড়ার দিকে, কিছু স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে দফতর সুত্রে জেনেছি। প্রয়োজন ভিত্তিক বিভিন্ন ব্লকে ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানো যেতে পারে।’’

Advertisement

আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা প্রদ্যোৎ ২০১১ সালে এই হাসপাতালে যোগ দেন। স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য মণ্ডল বলেন, ‘‘ঠোঁটের তলায় একটা মাংসপিণ্ড বেড়ে রয়েছে। অন্য চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করাতে বলেছিলেন। কয়েক মাস ধরে এখানে হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা করিয়ে ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ মানবাজার থানার রাঙ্গাটাঁড় গ্রামের অর্চনা মাহাতো জানান, তাঁরও শারীরিক কিছু সমস্যা ছিল। চিকিৎসায় ফল মেলায় এখন কিছু হলেই তিনি হোমিয়োপ্যাথির চিকিৎসা করাতে যান। মানবাজারের মানভূম কলেজের শিক্ষক প্রদীপ মণ্ডল মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে পরামর্শ চাইতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘লাইনে একটু অপেক্ষা করতে হয় ঠিকই। তবুও এখানেই মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে আসছি।’’

চিকিৎসক প্রদ্যোৎ দাস জানান, মানবাজার ছাড়াও বোরো, বান্দোয়ান, এমনকী খাতড়া ব্লক এলাকা থেকেও রোগী আসেন। তিনি বলেন, ‘‘হোমিয়োপ্যাথির উপরে মানুষের আস্থা দেখে ভাল লাগে। কিন্তু, রোগীর অত্যন্ত ভিড় থাকায় পরীক্ষা করা, ওষুধ দেওয়া— একার পক্ষে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এক জন সহায়ক চেয়েও পাইনি। তাই নিজে খরচ করেই এক জন সহায়ক রেখেছি। তিনিই এখন রোগীদের নাম, ঠিকানা লেখা, ওষুধ দেওয়ার কাজ করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন