রামপুরহাট পুরসভার সামনে এখানেই বসবে হাট। নিজস্ব চিত্র
জৈব চাষে উৎপাদিত পণ্যের বাজার এ বার বসতে চলেছে রামপুরহাটে। জৈব চাষিরাই তাঁদের তৈরি পণ্য বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। রামপুরহাট পুরসভার সামনে আগামী অগস্ট মাসে ওই জৈব হাটের উদ্বোধন হতে চলেছে। সেই মতো জায়গা দেখা হয়েছে বলে রামপুরহাটের পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারী জানান। তাঁর কথায়, ‘‘মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা মতো পুরসভার সামনে সপ্তাহে এক দিনের জন্য ওই হাট বসবে।’’
মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতার বিধান শিশু উদ্যানের সহযোগিতায় হাট বসানো হবে। সম্প্রতি রামপুরহাট মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে এবং বিধান শিশু উদ্যানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রামপুরহাটে হাটের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তারপরই রামপুরহাট পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে আপাতত পুরসভার সামনের মাঠে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রী জানান, প্রতি শনিবার, সপ্তাহে এক দিন ওই হাট বসবে। কলকাতার বিধানশিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান, জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে বিধান শিশু উদ্যানের ভিতর ফাঁকা জমিতে নানা ধরণের শাক-সব্জি চাষ হয়। ওই সমস্ত দ্রব্য এলাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়াও যাঁরা জৈব পদ্ধতিতে চাষ করেন, সেই সমস্ত চাষিরাও তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করতে আসেন।
গৌতমবাবুর কথায়, ‘‘রামপুরহাটেও জৈব চাষের উৎপাদিত পণ্যের হাট বসানোর জন্য মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাসের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের ওই হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছেন।’’ জৈব হাটের পাশাপাশি জৈব চাষে এলাকার চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে একটি আলোচনা শিবির করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জৈব চাষের উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সম্যক ধারনা এবং মত বিনিময়ের সুযোগ থাকবে বলে অনেকের মত।
কৃষি দফতরের রামপুরহাট মহকুমার সহকারি অধিকর্তা (প্রশাসন) দিবানাথ মজুমদার জানান, কীটনাশক কিংবা রাসয়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য বিভিন্ন সময়ে চাষিদের নানা ভাবে সচেতন করা হয়েছে। তার সুফলও মিলেছে। অনেক চাষিই এখন জৈব চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। রামপুরহাটে জৈব হাটের ব্যবস্থা করলে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক বাজার পাবেন। জৈব চাষিরাও তাঁদের বাড়ির তৈরি জৈব সার বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। ভাল কৃষিজ ফসল পেয়ে খুশি হবে শহরবাসীও। দূর থেকেও লোকজন কিনতে আসবে বলে প্রশাসনের আশা।