নলহাটিতে বিপাকে গ্রাহকেরা। নিজস্ব চিত্র
এটিএম মেশিন আছে, কিন্তু টাকা নেই তাতে। কোথাও আবার এটিএম মেশিনটাই উধাও। নোটবন্দি হওয়ার পর থেকেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে রামপুরহাট ও নলহাটির বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কিওস্কের। অভিযোগ, চালু এটিএম মেশিনেও টাকা মেলে অনিয়মিত।
ব্যাঙ্কগুলির স্থানীয় শাখায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরাও এই সমস্যা সমাধানের পথ বলতে পারেন না। নলহাটি শহরে পাঁচটি, আর রামপুরহাটে বন্ধ এটিএম কিওস্কের সংখ্যা তিনটি। এদিকে এটিএম কার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোর পর নতুন কার্ড এসেছে গ্রাহকদের কাছে। সেই কার্ড চালু করার জন্য নতুন করে পিন দেওয়ার কথা বলা হলেও মেশিন চালু না থাকায় কার্ড ব্যবহার করতে পারছেন না অনেকে। ব্যাঙ্কগুলির আধিকারিকেরা জানান, এটিএম মেশিনে টাকা ভরার দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থার, আর এটিএম মেশিনের যান্ত্রিক বিষয়গুলি দেখভালের দায়িত্ব অন্য একটি সংস্থার। যে সংস্থা মেশিনে টাকা ভরার কাজটি করে সেই সংস্থার এক আধিকারিক তারকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের সংস্থার কাজ শুধু টাকা ভরা। এমএসপি’র (মেন্টেনেন্স সার্ভিস প্রোভাইডার) দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে একটি ব্যাঙ্কের চুক্তিগত সমস্যা হওয়ায় তারা সেই ব্যাঙ্কের সব মেশিন তুলে নিয়েছে। এছাড়াও নলহাটি বা রামপুরহাটে বেশ কিছু এটিএম দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে আছে।’’
রামপুরহাটে ডাকবাংলা মোড়ে একটি এটিএম কিওস্ক নোটবন্দির পর থেকেই বন্ধ। নলহাটি ডাক বাংলা মোড়েও একটি এটিএম কিওস্ক তালাবন্ধ। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের গ্রাহক নলহাটির বাসিন্দা বাপি মন্ডল, রিঙ্কু সাহাদের কথায়, ‘‘নতুন এটিএম কার্ড হাতে পাওয়ার পরেও তা ব্যবহার করতে পারছি না। এটিএম কিওস্কগুলিতে ব্যাঙ্কের নামটুকুই আছে। টাকা নেই।’’ এটিএম মেশিনগুলির এমএসপির দায়িত্বে থাকা সংস্থার জেলা আধিকারিক বিধান প্রামাণিক বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যায় নোটবন্দির সময় থেকেই কিছু এটিএম বন্ধ আছে।’’