কেঠারডাঙা রেলগেটে যন্ত্রণা ঘোচাতে আর্জি

সকালে বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার সাধনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।  স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রবীন্দ্রসরণি এলাকা থেকে মিছিল করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাঁকুড়া স্টেশনে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৫২
Share:

দাবিদাওয়া: মিছিল করে বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজারের কাছে চলেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

উড়ালপুল তৈরি হওয়ায় বাঁকুড়া শহরের পূর্বপ্রান্তে কেরানিবাঁধ রেলগেটে আটকে থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলেছে। দীর্ঘদিন ধরে দাবি তোলার পরে শহরের পশ্চিমপ্রান্তে কাটজুড়িডাঙা রেলগেটেও উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে শহরের দক্ষিণ দিকে যানজটপ্রবণ কেঠারডাঙা রেলগেটে উড়ালপুল বা আন্ডারপাস তৈরি দাবি এখনও মেটেনি। শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া স্টেশনে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় মহান্তি। ওই সব দাবি তাঁকে দেওয়ার জন্য এ দিন

Advertisement

সকালে বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার সাধনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রবীন্দ্রসরণি এলাকা থেকে মিছিল করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাঁকুড়া স্টেশনে যান। মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ‘মেন্টর’ তথা বাঁকুড়া শহর তৃণমূলের আহ্বায়ক অরূপ চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মিছিল শেষে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সভা করে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূলের তরফে মোট চার দফা দাবি তোলা হয়েছে। যার মধ্যে কেঠারডাঙা রেলগেটে উড়ালপুল বা আন্ডারপাস গড়ার পাশাপাশি, বহু বছর ধরে রেলের জমিতে বসবাসকারী বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়া, কাটজুড়িডাঙায় হল্ট স্টেশন চালুর দাবিও রয়েছে।
অরূপবাবু জানান, কেঠারডাঙা রেলগেট দিয়ে দৈনিক বহু মানুষ পারাপার করেন। অথচ, দীর্ঘসময় ধরে এই রেলগেটটি ট্রেন আসা-যাওয়ার জন্য বন্ধ করে রাখা হয়। এতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন। তীব্র যানজট হয়।” ঘটনা হল, এই রেলগেট দিয়ে কেবল শহরের মানুষই নন, ধলডাঙা, এক্তেশ্বর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন কম সময়ে শহরে পৌঁছতে যাতায়াত করেন। বহু অ্যাম্বুল্যান্স, স্কুলের গাড়িও এই পথ দিয়ে পারাপার করে। রেলগেটে দীর্ঘসময় ধরে আটকে পড়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ মানুষ। সমস্যা মেটাতে শহরের মানুষের একটা বড় অংশই দীর্ঘদিন ধরে এই রেলগেটে আন্ডারপাস বা ওভারব্রিজ গড়ার দাবি তুলে আসছেন। অবিলম্বে যাতে রেলের তরফে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়, সেই দাবি এ দিন সাধারণ মানুষেরর মুখেও শোনা গিয়েছে।
অরূপবাবু বলেন, “বহু যুগ ধরে বহু গরিব মানুষ রেলের জায়গায় বস্তি তৈরি করে বসবাস করছেন। সম্প্রতি বেশ কিছু এলাকায় কিছু পরিবারকে জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, তাঁদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক রেল।’’ কাটজুড়িডাঙায় হল্ট স্টেশন গড়ার দাবিটিতেও জোর দিয়েছে তৃণমূল। জিএম-এর মতামাত জানা যায়নি। তবে বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজারের আশ্বাস, তৃণমূলের তোলা দাবিগুলি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন