যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কবে, উত্তর খুঁজছেন বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র
হরিসড়া অঞ্চলের বাগডোলা মোড় থেকে তালতলা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
ওই রাস্তা দিয়েই বিভিন্ন রুটের সরকারি ও বেসরকারি যাত্রী বোঝাই বাস ও অসংখ্য ছোটো, বড় গাড়ি যাতায়াত করে। স্থানীয় লোকজন থেকে সমস্ত গাড়ি চালকদের অভিযোগ, রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও একই অভিযোগ জানিয়ে অবিলম্বে রাস্তা সারানোর দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়দের কথায়, পূর্ত দপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়ি চালকদের কথায়, বাগডাঙা থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা শুধু বেহাল বললে ভুল হবে। এক কথায় ভয়াবহ। যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। খারাপ রাস্তার কারণে মাল বোঝাই গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল থমকে যায়। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে বহরমপুর, রামনগর, ষাটপলসা, লোকপাড়া, রামপুরহাট, তারাপীঠ, মল্লারপুর-সহ বিভিন্ন রুটের যাত্রী বোঝাই সরকারি ও বেসরকারি বাস, বালি, পাথর ও মাল বোঝাই ছোটো বড় অসংখ্য ভাড়ি গাড়ি চলাচল করে। রাস্তার কারণে পথ চলতি লোকজন থেকে গাড়ি চালকদের ভোগান্তির শেষ নেই। তবু রাস্তা সারানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।
কুন্ডলা গ্রামের বাসিন্দা হাইস্কুলের শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তালতলার বাসিন্দা বাগডাঙার সেন্ট এন্ড্রুজ স্কুলের শিক্ষক শিবকুমার দেবাংশী, রুদ্রনগরের বাসিন্দা মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাগডাঙা এলাকার নবকুমার মণ্ডল, মানিক সাউ, পবন বাগদিরা জানান, বাগডাঙা থেকে তালতলা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মতো রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে খারাপ।
ট্রাক চালক মালদার নিমাই দাস, বহরমপুর এলাকার শেখ নিজাম, নদীয়ার বিজয় মণ্ডল, সাঁইথিয়া বহরমপুর রুটের বাস চালক খোকন চন্দ্র, গৌর রায়, তাপস দাসরা ক্ষোভ জানান। তাঁদের দাবি, ওই রাস্তা সংস্কারের কথা হলেও কোনও কাজই হয়নি।
গাড়ি চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এক মত হয়ে হরিসড়া অঞ্চলের প্রধান বেদন ঘোষ বলেন, ‘‘সত্যিই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা মানে জীবন হাতে করে চলা। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার হওয়া জরুরী।’’
পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজকুমার সিংহকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে, তিনি ফোন ধরেননি।