রসদ: নকুলদানা তৈরির ব্যস্ততা। কাশিমবাজারে। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল নেতার নকুলদানার ‘নিদানে’ কমেছে গুড়, বাতাসার বিক্রি।
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের গুড়-বাতাসা বিলির নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। সরব হয় বিরোধী শিবির। এ বার লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রতই সবাইকে নকুলদানা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষ যত নকুলদানা খাবেন, ততই তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবেন।’’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রতের কথায় এক লাফে জেলায় বেড়েছিল গুড়, বাতাসার ব্যবসা। এ কথা জানিয়েছেন কারিগর, ব্যবসায়ীরাই। বোলপুরের কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, ওই সময় প্রতি দিন প্রত্যেক দোকান থেকে ৪০-৫০ কিলোগ্রাম করে গুড়, বাতাসা বিক্রি হতো। কিন্ত লোকসভা ভোটের আগে তা কমে এসেছে ১০-১৫ কিলোগ্রামে।
এখন পালে হাওয়া নকুলদানার ব্যবসায়। শহরের বাজার ঘুরে জানা গিয়েছে, নকুলদানার চাহিদা এখন প্রতি দিন প্রায় দুই থেকে আড়াই কুইন্টাল। বোলপুরের কাশিমবাজারে নকুলদানা, বাতাসা কারখানা রয়েছে বিষ্ণু সরকারের। তিনি বলেন, ‘‘আগের ভোটে ছিল গুড়-বাতাসা। এ বারের ভোট নকুলদানা।’’ ওই এলাকার অন্য কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, রাজনীতির আঙিনায় চলে আসায় নকুলদানার ব্যবসা লাভের মুখ দেখছে। কাশিমবাজারের একটি নকুলদানা কারখানার কারিগর রমেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই নকুলদানার চাহিদা বাড়ছে। তৈরি করেও কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না।’’
জেলায় দলের শীর্ষনেতার নির্দেশের পরেই নকুলদানা নিয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। নকুলদানা, জল হাতে নিয়ে শহরবাসী, পথচারীদের বিলি করছেন তাঁরা।