মিছিলে হামলার নালিশ বামেদের

এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ সিউড়ি ১ ব্লকের ছোড়াগ্রাম থেকে একটি মিছিল করে বাম যুব সংগঠন। সেই মিছিলে ছিলেন বীরভূম কেন্দ্রের বামপ্রার্থী রেজাউল করিমও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ১০:৩৪
Share:

বামেদের প্রচার মিছিলে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠল সিউড়িতে। বৃহস্পতিবার। এ দিনই ইলামবাজারে প্রচারে গিয়ে ‘বাধা’র মুখে পড়লেন বোলপুরের সিপিএম প্রার্থীও। দু’টি ঘটনাতেই অভিযোগের আঙুল বিরোধীদের দিকে। যদিও তৃণমূল বা বিজেপি, কেউই তা মানতে চায়নি।

Advertisement

এ দিন সকালে বাম-মিছিলে ইটের আঘাতে এক দলীয় সমর্থক জখম হন বলে সিপিএমের দাবি। জখম মোর্তাজা হোসেনের অভিযোগ, ওই ঘটনায় তৃণমূল বা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী ওই কাণ্ড করেছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানানোর কথা বলেছে সিপিএম।

তাদের অভিযোগ, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ সিউড়ি ১ ব্লকের ছোড়াগ্রাম থেকে একটি মিছিল করে বাম যুব সংগঠন। সেই মিছিলে ছিলেন বীরভূম কেন্দ্রের বামপ্রার্থী রেজাউল করিমও। মাঝপথে একটি বাগানের মধ্যে থেকে কয়েকটি ইট মিছিলে ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তবে কোনও দুষ্কৃতীকে ধরা যায়নি। আহত ওই বামকর্মী বলেন, ‘‘মিছিল তখন সবে শুরু হয়েছিল। হঠাৎ কয়েকটি ইট এসে পড়ে। একটি লাগে আমার মাথায়।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘কে বা কারা ওই হামলা চালিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। কিন্তু তারা আমাদের বিরোধী শক্তি হবে। হয় বিজেপি, না হয় তৃণমূল।’’ রেজাউল অবশ্য ওই ঘটনায় নাম না করে তৃণমূলকেই বিঁধেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আক্রমণ কে বা কারা করেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এখানে দু-এক জন নেতা কখনও নকুলদানা তো কখনও গুড়-বাতাসার গল্প বলছেন। তাতে সমাজবিরোধীরা উৎসাহিত হচ্ছে এবং এমন কাণ্ড করে বসছে।’’

Advertisement

অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিনহা বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার কিছুই জানা নেই।’’ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল বলেছেন, ‘‘এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি বিজেপি করে না। তা ছাড়া এই ধরনের ঘটনা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হওয়ার কথা। বামেরা তো আমাদের প্রতিপক্ষ নয়।’’

এ দিকে, এ দিনই ইলামবাজারের সাহাপুর গ্রামে মিছিল করে ঢোকার মুখে কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাধা দেন বলে অভিযোগ।

বোলপুরের সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘ওরা মিছিলে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। বাধা দেওয়ারও চেষ্টা হয়। কিন্তু তা রুখেই আমাদের দলীয় কর্মীরা প্রচার চালান।’’

সিপিএমের অভিযোগ, সাহাপুর গ্রামে ঢোকার মুখে জটলা করে বসেছিলেন তৃণমূলের জনাবিশেক সমর্থক। মিছিল দেখে তাঁরা বলতে থাকেন— ‘সাহাপুর গ্রামে সিপিএমের প্রচার করা যাবে না।’ অভিযোগ, কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক হাতে বাঁশ নিয়ে মিছিলে থাকা একটি প্রচার-গাড়িতে ভাঙচুরের চেষ্টাও করেন। গ্রামেরই কয়েক জন তাঁদের বাধা দেন। রুখে দাঁড়ান সিপিএম কর্মীরাও। পরে মিছিল ঘোরে সাহাপুর গ্রামে।

ওই মিছিলে থাকা সিপিএমের এক সমর্থক বলেন, ‘‘তৃণমূলের বাধা প্রতিরোধ করেই আমরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাই।’’

এ নিয়ে ইলামবাজার তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমান বলেন, ‘‘সারা বছর সিপিএমকে এলাকায় দেখা যায় না। ভোটের সময় ভোট চাইতে আসে ওরা। তাই এলাকার ক্ষুব্ধ মানুষই ওদের বাধা দিতে পারেন বলে মনে হয়। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন