স্কুলের বুথ সাজাতে কাজ শুরু জেলায়

সেখানে পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সে কাজ শুরুও হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোটের আগে বুথগুলির শৌচাগার, পানীয় জলের মতো পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে নজর পড়ল। বীরভূম জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক বাপ্পা গোস্বামী জানান, জেলায় যে সমস্ত স্কুলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হবে সেই সমস্ত কেন্দ্রগুলির মধ্যে যেখানে যেখানে পরিকাঠামোর খামতি আছে, সেখানে পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সে কাজ শুরুও হয়েছে।

Advertisement

যে সমস্ত স্কুলে বুথ হয়, তার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন বহু দিনের। ভোটের সময় প্রায়ই দেখা যায়, পুরুষ এবং মহিলা ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। লাইন ঠিক করার দায়িত্বে রয়েছেন এক জন লাঠিধারী পুলিশ এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার। এমন কিছু কেন্দ্রে নিজস্ব সীমানা পাঁচিল না থাকার জন্য ভোটারদের সুরক্ষা নিয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন থেকে যায়। আবার এমন কেন্দ্র আছে যেখানে জমা জল পেরিয়ে যেতে হয় ভোটারদের। আবার অনেক ভোট কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অস্থায়ী ভাবে সংযোগের ব্যবস্থা করতে হয়। পানীয় জল থেকে শৌচালয় ব্যবস্থাও অনেক ভোট কেন্দ্রে না থাকায় তাড়াহুড়ো করে অস্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হয় প্রশাসনকে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, শৌচাগার, পানীয় জল, র‍্যাম্প, সীমানা পাঁচিল, বিদ্যুৎ সংযোগ, ভোটারদের ঢোকার প্রবেশ দ্বার, ভোটকেন্দ্রের জানলা ঠিক-ঠাক আছে কি না এমন দশটি বিষয় দেখে নিয়ে তবে ভোটকেন্দ্র ঠিক করা হয়। লোকসভা ভোটের আগে এই প্রেক্ষিতেই নজর পড়েছে পরিকাঠামোয়। তাতে স্কুলেরও লাভ। জেলাতেও অনেক স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব আছে। এমন স্কুল বেছে ভোটের আগে জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর উদ্যোগী হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বীরভূমে ২ হাজার ২৫৮টি জায়গার মধ্যে ৩ হাজার ২১টি ভোটকেন্দ্র আছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রশান্ত অধিকারী এবং ওসি ইলেকশন বুদ্ধদেব পানের দাবি, ‘‘৯০-৯৫ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের পরিকাঠামো ঠিক আছে। মাস দু’য়েক আগেই বিডিও এবং সেকটর অফিসাররা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো ঠিক আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর যে খামতি আছে সেগুলির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সমস্ত কিছু জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও প্রশাসনের দাবি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘বীরভূমের ২৪০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচালয়, স্কুলের সীমানা পাঁচিল, পানীয় জলের সুবিধা, র‍্যাম্প এবং বিদ্যুৎ সংযোগ এই পাঁচটি পরিকাঠামো দীর্ঘ দিন আগেই করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন