ভোটে শান্ত জঙ্গলমহল

মাঠা জুনিয়র বেসিক হাইস্কুলে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে গোলমাল হয়েছিল। পুনর্নির্বাচনে ৮টির মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। জঙ্গলের রাস্তার ধারে বুথ।

Advertisement

প্রশান্ত পাল

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০১:০৮
Share:

বুথের পথে ত্রিলোচনের বাবা ও মা। ছবি: সুজিত মাহাতো

গত পঞ্চায়েত ভোটের সময়ের কথা। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন গণেশচন্দ্র হাঁসদা আর সোমবারি হাঁসদা। বুথের ভিতরে গোলমাল টের পাননি। হঠাৎ তেড়েফুঁড়ে প্রচুর লোককে আসতে দেখে দৌড় দিয়েছিলেন। এ বারে দুপুর রোদে তিন কিলোমিটার হেঁটে মাঠা জুনিয়র বেসিক স্কুলের বুথে এসেছিলেন ওই দম্পতি। বললেন, ‘‘ওই দিন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আজ শান্তিতেই ভোট দিয়েছি।’’ পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় মোটের উপরে শান্তিতেই লোকসভার ভোটগ্রহণ হয়েছে রবিবার।

Advertisement

মাঠা জুনিয়র বেসিক হাইস্কুলে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে গোলমাল হয়েছিল। পুনর্নির্বাচনে ৮টির মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। জঙ্গলের রাস্তার ধারে বুথ। একটু এগোলেই মাঠাবুরু। বুথে গিয়ে দেখা গেল, চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রয়েছেন। আর রয়েছেন রাজ্য পুলিশের চার জন। সমস্ত দলের এজেন্ট রয়েছেন ভিতরে। পোলিং অফিসার ননীগোপাল দাস জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট চলছে।

আড়শার শিরকাবাদ পঞ্চায়েতের সেনাবনা প্রাথমিক স্কুলের বুথের সামনে দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন। দুপুরের চড়া রোদে ভোট দিতে আসার সময়ে সঙ্গে চটের বস্তা নিয়ে এসেছিলেন খাঁদু কালিন্দি, ইন্দ্রজিৎ মাহাতো, শুকদেব মাহাতোরা। সেগুলি পেতে বসে পড়েছেন। লাইন এগোতে দেরি দেখে কয়েক জন উসখুশ করে উঠলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এসে বললেন, ‘‘যন্ত্রে ভোট দেওয়া, ভিভিপ্যাটে মিলিয়ে দেখা— সমস্তটা করতে কিছুটা সময় তো লাগবেই।’’

Advertisement

বলরামপুরের তেঁতলো পঞ্চায়েতে সুপুরডি প্রাথমিক স্কুলের বুথের বাইরেও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ওই পঞ্চায়েতে এ বারের ভোটে তৃণমূল ক্ষমতা হারিয়েছে। জয়ী হয়েছে বিজেপি। লাইনে দাঁড়ানো সনকা মাহাতো, আলো সহিস, মাধব মাহাতোরা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতেও শান্তিতেই ভোট দিয়েছিলাম। এ বার আরও শান্তিতে দিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন