জলকষ্ট নিয়ে পোস্টার

বাসিন্দাদের বক্তব্য, পরের পর ভোট গিয়েছে। কিন্তু সমন্বয়পল্লির জলকষ্ট বদলায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৪
Share:

জল সমস্যা নিয়ে পোস্টার সিউড়ি শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজস্ব চিত্র

সদর শহরে পানীয় জলের সমস্যা যে রয়েই গিয়েছে, তা প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে টের পেয়েছিলেন বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। এ বার সেই জল সমস্যা নিয়েই পোস্টার পড়ল সিউড়ি শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়পল্লিতে। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, সেই নিয়ে কিছু বলতে না পারলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘‘আমাদের কোনও শুভাকাঙ্ক্ষীই এই কাজ করেছেন।’’

Advertisement

বাসিন্দাদের বক্তব্য, পরের পর ভোট গিয়েছে। কিন্তু সমন্বয়পল্লির জলকষ্ট বদলায়নি। ওই এলাকায় মোট ৬টি নলকূপ আছে। কিন্তু সেগুলির জল খাবার বা ব্যবহারযোগ্য নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, কেউ কেউ টোটো ভাড়া করে পাশের পাড়া থেকে জল আনেন। আবার অনেকে জল কিনে নেন। তাঁদের

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় জলসঙ্কট রয়েছে। ভোট এলেই প্রার্থীরা আসেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু জেতার পরে আর দেখা পাওয়া যায় না। কয়েক জন বললেন, ‘‘আমাদের ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের জল সমস্যা। আমরা বারবার কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। কিন্তু সমাধান হয়নি। এই পোস্টার কে বা কারা লাগাল জানি না তবে যে লাগিয়েছে, সে আমাদের পাড়ারই কেউ হবে।’’

Advertisement

শহরের জল সমস্যার পুর-কারিগরি দফতরের উপরে চাপিয়েছেন সিউড়ির পুরপ্ৰাধন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এত টাকা খরচের পরেও স্রেফ পুর-কারিগরি দফতরের ব্যর্থতার কারণে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। যেহেতু নির্বাচনী বিধির মধ্যে আছি, তাই আশ্বাস দিতে পারব না। তবে একটা কথা বলব, আগামী তিন মাসের মধ্যে জল সমস্যা না মেটাতে পারলে আমাদের কোনও প্রার্থী ওই এলাকায় ভোটেই দাঁড়াবেন না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement