প্রতীকী চিত্র।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত মিললেও দান ছাড়তে নারাজ পুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মীরা। আজ, বৃহস্পতিবার বাক্স থেকে ইভিএম বার করার আগে পর্যন্ত বুথ ধরে ধরে অঙ্ক কষে চলেছেন বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা। সেই সঙ্গে আমজনতার কৌতূহলের পারদ চড়ছে তরতর করে।
জেলা রাজনীতির ওঠাপড়ার নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের মতে, এ বার ভোটে পুরুলিয়ার ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে বাম ও কংগ্রেসের ভোট ধরে রাখার উপর। কারণ পঞ্চায়েতে বাম ও কংগ্রেসের নিচুতলার একটা অংশের ভোট গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। এ বার তাই আলাদা ভাবে নজরে থাকছে, বিরোধী ভোট ব্যাঙ্কের গতি-প্রকৃতির উপরেও।
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রভাব বেড়েছে বলরামপুর, জয়পুর ও পাড়া বিধানসভা এলাকায়। কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত বাঘমুণ্ডি বিধানসভাতেও ভোট কেড়েছে বিজেপি। তবে, কাশীপুর ও মানবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রভাব অটুট রয়েছে। আবার
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে যে এলাকায় যেটুকু সংগঠনে ফাঁকফোকর ছিল তা মেরামত হয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দলীয় পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক সভা করেছেন। তাতে জনসমর্থন অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া কাশীপুর, হুড়া, পুঞ্চা, মানবাজার ব্লক থেকেও ভাল ‘লিড’ পাওয়া যাবে।’’
যদিও বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘পুরুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার পরে বিজেপির পক্ষে ঝড় বইছে। মানবাজার বাদে বাকি ছয় বিধানসভা কেন্দ্রেই পদ্মের চাষ হবে।’’
বাম ও কংগ্রেসের ভোটের দিকেও নজর রয়েছে শাসকদলের। এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘ঝালদা ১ ও ২ ব্লক, জয়পুর এবং বাঘমুণ্ডিতে কংগ্রেস ও বামেরা নিজেদের ভোট কতটা ধরে রাখতে পারল, তা নিয়েও বুথ ভিত্তিক হিসেব কষছি আমরা।’’ তবে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের জেলা নেতৃত্বর দাবি, তাঁদের ভোট ব্যাঙ্ক অটুট থাকবে।
এ বার এই লোকসভা কেন্দ্রে যোগ হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার নতুন ভোটার। তাদের মন কোন দিকে, তা নিয়েও চলছে জল্পনা।