‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি
Duarey Sarkar

ভাতার জন্য লাইন বেশি

বান্দোয়ানের সুপুডি পঞ্চায়েতের চিলা গ্রামের শিবিরে গিয়ে দেখা গেল, অনেকটাই বেশি ভিড় বিবিধ কাউন্টারে। বার্ধক্যভাতার আবেদন জানাতে হাজির হয়েছেন অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪০
Share:

বান্দোয়ান কলেজে পেনশনের জন্য ফর্ম ভরা। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো।

‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সরকারি প্রকল্পগুলিতে নাম নথিভুক্ত করতে কম-বেশি ভিড় হচ্ছে। তবে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শিবিরে শনিবার বেশি মানুষকে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ভাতার জন্য আবেদন জানাতে।

Advertisement

বান্দোয়ানের সুপুডি পঞ্চায়েতের চিলা গ্রামের শিবিরে গিয়ে দেখা গেল, অনেকটাই বেশি ভিড় বিবিধ কাউন্টারে। বার্ধক্যভাতার আবেদন জানাতে হাজির হয়েছেন অনেকে। লাইনে দাঁড়ানো বান্দোয়ানের বরাগাড়ি গ্রামের সুশীলা মাঝি, চিলা গ্রামের আদরি মাঝিরা জানান, ষাট বছর পেরনোর পরেই পঞ্চায়েত ও ব্লকে ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ভাতা মেলেনি। শিবিরে আবেদন করলে ভাতা মিলবে শুনে এসেছেন।

তবে দিনের শেষে ভাতার বিষয়ে প্রশাসনের কর্মীদের তরফে আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি বলেই দাবি তাঁদের। জানালেন, আবেদনপত্র জমা দিয়ে পরের শিবিরে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

একই ছবি দেখা গিয়েছে, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের শাঁকা গ্রামের শিবিরে। বিধবাভাতার আবেদন জানাতে শিবিরে আসা বছর চুয়ান্নর রিঙ্কু সুপকারের দাবি, বারো বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পরে, বহু বার বিভিন্ন মহলে বিধবা ভাতার জন্য আবেদন জানালেও সুরাহা হয়নি। এখানেও পরের শিবিরে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাশাপাশি, শিবিরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ‘জব-কার্ড’-এর আবেদন জানাতে আসা রামের বাগিচা গ্রামের দম্পতি বাবলু বাউরি ও বুনি বাউরিরা জানান, লোকের জমিতে কয়েক মাস ভাগচাষ করেন। ‘জব-কার্ড’ না থাকায় একশো দিনের কাজ মেলে না। পঞ্চায়েতে আবেদন করেও ওই কার্ড পাননি বলে অভিযোগ। জব-কার্ড পাওয়ার আশায় শিবিরে এসেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন