যানজটে থমকে সাঁইথিয়া নতুন ব্রিজ। নিজস্ব চিত্র।
বেহাল ময়ূরাক্ষী সেতুর উপর পর পর দুটি গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজটে নাজেহাল সাঁইথিয়া।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ সাঁইথিয়া নতুন ব্রিজে। বিকল ট্রাক চালক ও স্থানীয় লোকজনদের দাবি, রাস্তা ও সেতুর বেহাল দশার কারণে মাঝে মধ্যে ট্রাক বা অন্যান্য গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যানজট তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বার বার সেতু ও রাস্তা সারানোর দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পূর্ত দফতরের দাবি, ‘‘ওভারলোডের কারণেই রাস্তা ও সেতু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’’
পূর্ত দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকে সাঁইথিয়া নতুন ব্রীজের যত্রতত্র খানাখন্দে ভর্তি। বিশেষ করে সেতুর সংযোগস্থলের গর্তে পড়ে যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। ওই গর্তের কারণে মাঝে মধ্যে সেতুর উপর গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে গাড়ি বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ একটি ট্রাক সাঁইথিয়া মুখি একটি ট্রাক সেতুর উত্তরপাড়ের শুরুতেই যন্ত্রাংশ ভেঙে বিকল হয়ে যায়। একদিক দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের কারণে সেতু ও সংলগ্ন দু’পাড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার ঘন্টা দুয়েক পরে সাঁইথিয়ার দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাক সেতুর দক্ষিণ পাড়ে খারাপ হয়ে যায়। দু’পাড়ে দুটি ট্রাক খারাপ হওয়ায় যানজট সমস্যা আরও বাড়ে। ভোগান্তি পোহাতে হয় পথ চলতি পড়ুয়া, লোকজন, সাইকেল, মোটরবাইক থেকে সমস্ত গাড়ি চালক ও বাস যাত্রীদের। ট্রাক চালক সিরাজ শেখ ও পল্টু দাসরা বলেন, ‘‘সেতুর গর্তে পড়ে ট্রাকের গোল্লা ভেঙে যায়। সকাল থেকে মিস্ত্রি না পাওয়ায় আমাদেরও দুর্ভোগের শেষ নেই। বেলার দিকে মিস্ত্রি এসে সারানোর কাজ শুরু করেছেন। আশা করি দুপুর পর্যন্ত ঠিক হয়ে যাবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা বাপন ধর, নবকুমার পালরা জানান, সেতু ও দু’পাড়ের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। প্রায় দিনই ট্রাক বা গাড়ি বিকল হয়ে সেতু ও সেতুর দু’পাড়ের রাস্তায় যানজটে সৃষ্টি হয়। লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রতিবারই শুনি বর্ষার পর সেতু সারানো হবে। কিন্ত বাস্তবে যে কবে হবে কে জানে! পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘বর্ষার পরে সেতু সংস্কার করা হবে।’’