বাড়ি বাড়ি জল দিতে শুরু লটারি

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে লটারি শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই পুরএলাকার ২৩টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে কারা জলের সংযোগ পাবেন, তা নির্ধারিত হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দিতে উপভোক্তা নির্বাচন করতে লটারি শুরু করল পুরুলিয়া পুরসভার।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে লটারি শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই পুরএলাকার ২৩টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে কারা জলের সংযোগ পাবেন, তা নির্ধারিত হয়ে যাবে। রবিবার প্রথম দিনে ১ নম্বর ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আসা আবেদনের ভিত্তিতে লটারি হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান সামিমদাদ খান, উপপুরপ্রধান বৈদ্যনাথ মণ্ডল, পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ্ত দেবনাথ প্রমুখ। হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে সবার সামনেই লটারি করা হয়। পুরো লটারি-পর্ব ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে।

এই শহরে শেষবার বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল ষাটের দশকে। তারপরে শহরবাসী আর বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পাননি। ২০১১ সালে পানীয় জলের সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হন তৎকালীন বিধায়ক কে পি সিংহ দেও।

Advertisement

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ তহবিল থেকে ৭০ কোটি ৬ লক্ষ ২২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে ছিল মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট। জলের উৎস শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কংসাবতী নদী। অতিরিক্ত জলের জোগান দিতে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট কংসাবতীর বুকে বিশেষ ইনফিল্টেশন গ্যালারি তৈরি করে নদী গর্ভে জল সঞ্চিত করে। গত গ্রীষ্মে শহরে জলের জোগান দেওয়ার পরে পুরসভাকে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় তারা।

তারপরেই গত অগস্টে পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০টি করে বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। প্রথমে পুরসভা জানিয়েছিল যে লটারির মাধ্যমে যিনি সংযোগ পাবেন, তাঁকে সংযোগ নিতে দু’হাজার টাকা ও পুরসভার উন্নয়ন খাতে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। এই বিষয়টি তৃণমূলের তরফে জেলার দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসায় তিনি উন্নয়ন খাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পুরসভা কোনও অর্থ নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। তারপরে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে উন্নয়ন খাতে টাকা নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন পুরকর্তৃপক্ষ।

উপপুরপ্রধান জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬০০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৫০টি আবেদন জমা পড়ে।

পুরপ্রধান সামিমদাদ খান বলেন, ‘‘প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ জন করে উপভোক্তা নির্বাচনের পরে আরও ৫ শতাংশ উপভোক্তা বাড়তি তুলে রাখা হয়েছে। প্রথম ১০০ জনের মধ্যে কেউ সংযোগ নিতে না চাইলে কিংবা একই ব্যক্তির নামে একাধিক আবেদন নির্বাচিত হয়ে থাকলে সেগুলি বাদ যাবে। পরিবর্তে বাড়তি হিসাবে নির্বাচিত উপভোক্তারা সেই সুবিধা পাবেন।’’ তিনি জানান, রবিবার ছিল প্রয়াত নেতা কে পি সিংহ দেওয়ের জন্মদিন। তাঁর স্মরণেই লটারি এ দিন থেকে শুরু করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন